1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 12, 2025 11:40 AM
সর্বশেষ সংবাদ:

আল্পস ভ্রমণ: কীভাবে খরচ বাঁচাবেন, নিরাপদে ঘুরবেন?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Thursday, May 15, 2025,

আল্পস পর্বতমালা: বাংলাদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটি পরিপূর্ণ গাইড।

যারা পাহাড় ভালোবাসেন, তাদের জন্য ইউরোপের আল্পস পর্বতমালা যেন এক স্বপ্নীল জগৎ। বরফের চাদরে মোড়া উঁচু পাহাড়, সবুজ উপত্যকা, আর স্বচ্ছ জলের হ্রদ – আল্পসের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য যে কারো মন জয় করে নিতে পারে।

বাংলাদেশের ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এই গাইড, আল্পস ভ্রমণের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে, সেখানে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তকে আরও সহজ করে তুলবে।

আল্পস ভ্রমণে কি কি প্রস্তুতি নেবেন?

প্রথমেই আসা যাক, কি কি দরকারি জিনিস সাথে নিতে পারেন। আল্পসের আবহাওয়া বেশ পরিবর্তনশীল হতে পারে।

তাই লেয়ার করে পোশাক পরা বুদ্ধিমানের কাজ। একটি শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য ফ্লিস, আরামদায়ক ট্রাউজার, হাইকিং বুট, শহরের জন্য ফ্ল্যাট জুতো, জলরোধী জ্যাকেট, রোদচশমা—এগুলো সাধারণ পোশাকের তালিকায় রাখতে পারেন।

যারা হাইকিং করতে চান, তাদের জন্য কিছু অতিরিক্ত জিনিস সাথে রাখা ভালো। যেমন—থার্মাল, হাইকিং পোল, কম্পাস, জলের বোতল, টর্চলাইট, প্রাথমিক চিকিৎসার কিট, গরম টুপি ও গ্লাভস।

যাতায়াত ব্যবস্থা:

আল্পসে ভ্রমণের সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হলো ট্রেন। এখানকার ট্রেনগুলো সময়ানুবর্তিতা এবং দক্ষতার জন্য বিখ্যাত।

বিশেষ করে, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, এবং সুইজারল্যান্ডে ট্রেনের ভালো ব্যবস্থা রয়েছে।

টিকিট কাটার সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে পারেন।

সাধারণত, অগ্রিম টিকিট কাটলে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। যেমন, অস্ট্রিয়ায় ‘স্পারশিয়েন’, জার্মানিতে ‘স্পারপ্রাইস’, এবং সুইজারল্যান্ডে ‘সুপারসেভার’-এর মতো ডিসকাউন্ট অফারগুলো ভ্রমণের খরচ কমাতে সহায়ক হতে পারে।

এই ছাড়গুলো সাধারণত ভ্রমণের ৬ মাস আগে থেকে ১ দিন আগ পর্যন্ত পাওয়া যায়।

এছাড়াও, সুইস ট্রাভেল পাস এবং অস্ট্রিয়ার ফোর্টাইলকার্ড-এর মতো রেল পাসগুলোও আপনার ভ্রমণকে আরও সাশ্রয়ী করতে পারে।

পাহাড়ি পথে ভ্রমণের জন্য কেবল কার, ফিউনিকুলার এবং কগ রেলওয়ের মতো ব্যবস্থা রয়েছে।

উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে ভ্রমণের জন্য, টিকিটের সেরা ডিল খুঁজে বের করা বুদ্ধিমানের কাজ।

খরচ বাঁচানোর উপায়:

আল্পস ভ্রমণে টিকেটের খরচ কমাতে কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে।

আগেই টিকিট বুক করে রাখলে অনেক সময় ছাড় পাওয়া যায়।

বিভিন্ন দেশের রেলওয়ে কোম্পানিগুলো তাদের অফ-পিক সময়ে, অথবা নির্দিষ্ট রুটে বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে।

এই ছাড়গুলি আপনার ভ্রমণের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ভ্রমণ:

আল্পসে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে।

অনেক ট্রেনে, বিশেষ করে দ্রুতগতির এবং আন্তঃনগর পরিষেবাগুলিতে, লিফট, র‍্যাম্প এবং অন্যান্য সহায়ক সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

কিছু কেবল কার এবং হাইকিং ট্রা‌ইলেও এই সুবিধা বিদ্যমান।

গাড়ি চালিয়ে ভ্রমণ:

আল্পসের রাস্তাঘাট সাধারণত ভালো অবস্থায় থাকে এবং সাইনবোর্ড দেওয়া থাকে।

তবে পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে ভালোভাবে গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কিছু আল্পাইন পাস সারা বছর খোলা থাকে, আবার কিছু জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত খোলা থাকে।

অস্ট্রিয়া এবং সুইজারল্যান্ডে প্রধান রাস্তাগুলোতে গাড়ি চালানোর জন্য একটি ভিনেট বা ডিজিটাল টোল পাস-এর প্রয়োজন হয়।

হাইকিং করার সময় সতর্কতা:

আল্পসে হাইকিং করার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

আপনার গন্তব্য এবং রুটের বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কাউকে অবগত করুন।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নিন।

পর্যাপ্ত জল এবং উপযুক্ত পোশাক সঙ্গে নিন।

অপ্রত্যাশিত ঘটনার ঝুঁকি কমাতে, চিহ্নিত পথ ধরে হাঁটা উচিত।

হাইকিং এবং সাইক্লিং গাইড:

আল্পসে হাইকিং এবং সাইক্লিং করার জন্য গাইড বই পাওয়া যায়।

‘সিসেরোন’-এর মতো প্রকাশনা সংস্থা আল্পসের জন্য চমৎকার গাইড তৈরি করে।

অনলাইনেও বিভিন্ন রুটের তথ্য, আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং আবাসনের বিস্তারিত জানা যায়।

পাহাড়ি কুটিরে থাকা:

আল্পসের পাহাড়ি কুটিরগুলোতে থাকার জন্য আগে থেকে বুকিং দেওয়া ভালো।

সাধারণত, জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই কুটিরগুলো খোলা থাকে।

জনপ্রিয় ট্রেইলে ভ্রমণের সময়, কয়েক মাস আগে বুকিং করে রাখলে সুবিধা হয়।

কুটিরগুলোতে সাধারণত মাল্টিবেড ডর্ম থাকে।

নিজের স্লিপিং ব্যাগ, হেডটর্চ এবং কানের প্লাগ সাথে নিয়ে যাওয়া ভালো।

আল্পাইন ক্লাবগুলির সদস্যপদ:

আপনি যদি দীর্ঘ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে আল্পাইন ক্লাবগুলির সদস্যপদ নিতে পারেন।

জার্মানির ডিএভি (DAV), অস্ট্রিয়ার ওইএভি (ÖAV), সুইজারল্যান্ডের এসএসি (SAC), এবং ইতালির সিএআই (CA)।

এই ক্লাবগুলোর সদস্য হলে, বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়, যেমন—হোটেল এবং কুটিরের ভাড়ায় ৫০% পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যেতে পারে।

এছাড়াও, এই ক্লাবগুলোর ওয়েবসাইটে ট্রেইল প্ল্যানিং, আবহাওয়া এবং টপোগ্রাফিক ম্যাপের মতো প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়।

আল্পসের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আর অভিজ্ঞতা আপনাকে দেবে এক অসাধারণ আনন্দ।

তাই, ভালোভাবে পরিকল্পনা করে, এই সুন্দর স্থানটি ঘুরে আসুন।

তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT