নিউ ইয়র্ক শহরে অনুষ্ঠিত হলো পেন আমেরিকা’র বার্ষিক গালা। মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে উদযাপন করতে এবং লেখক ও শিল্পী-সাহিত্যিকদের সম্মান জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আমেরিকান মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্টোরিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতার স্বাধীনতা খর্ব করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। একইসঙ্গে, যারা নিজেদের লেখনি ও কাজের মাধ্যমে মানুষের মাঝে আলো ছড়িয়েছেন, তাদের সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে কমেডিয়ান এবং লেখক অ্যাম্বার রুফিন ছিলেন প্রধান আকর্ষণ। বক্তৃতার স্বাধীনতা বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করতে পেরে তিনি আনন্দিত ছিলেন।
রুফিন তার বক্তব্যে জানান, কিভাবে তাকে একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর পর তা বাতিল করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ‘নিষিদ্ধ’ বই।”
অনুষ্ঠানে লেখক ও শিল্পী সারাহ জেসিকা পার্কারকে সাহিত্য সেবার জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া, কারাবন্দী মিশরীয় কবি, গীতিকার ও অ্যাক্টিভিস্ট গ্যালাল এল-বেহাইরিকে ‘ফ্রিডম টু রাইট’ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এই পুরস্কারটি গ্রহণ করেন গ্যালারের বোন নায়েরা এবং বাবা আবদেলফাত্তাহ। বক্তৃতার স্বাধীনতা রক্ষায় অবদানের জন্য ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট মাইকেল রথ-কে পেন/বেনেনসন সাহস পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বক্তব্যে মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা বিশেষভাবে লেখক ও শিল্পীদের কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
পেন আমেরিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন, যারা মুক্তচিন্তা ও লেখকদের অধিকারের পক্ষে কাজ করে। তবে, ২০২৩ সালে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের প্রতি তাদের কিছু দুর্বল অবস্থানের কারণে বেশ সমালোচনার শিকার হতে হয় তাদের।
এরপর অনেক লেখক পেন আমেরিকার পুরস্কার অনুষ্ঠান থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতার স্বাধীনতা ও শিল্পচর্চার গুরুত্বের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। বক্তারা বারবার বলেছেন, মুক্তভাবে কথা বলতে পারাটা মানুষের মৌলিক অধিকার।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।