মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, যাঁর ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে এই আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বইয়ে বাইডেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং তাঁর দল ডেমোক্রেটদের মধ্যে এই বিষয়ে উদ্বেগের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
সিএনএনের সাংবাদিক জ্যাক ট্যাপার ও অ্যাক্সিওসের অ্যালেক্স থম্পসনের লেখা “অরিজিনাল সিন: প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পতন, এর গোপনীয়তা এবং তাঁর বিপর্যয়কর পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত” শীর্ষক বইটিতে বাইডেনের ঘনিষ্ঠ মহলের অজানা অনেক তথ্য উঠে এসেছে। বইটিতে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম ভুলে যেতেন এবং তাঁর কথাবার্তায়ও ছিল অসংলগ্নতা।
এমনকি অনেক সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাদেরও চিনতে পারতেন না।
বইটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়ে হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরেও উদ্বেগ ছিল। তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকারীরা তাঁর দুর্বল স্বাস্থ্যের বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেছেন। এমনকি তাঁর পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্তের বিষয়েও তাঁরা ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন।
তবে দলের অনেক নেতাই প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
বইটিতে বাইডেনের অতীতের কিছু ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে, যা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির ইঙ্গিত দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একবার তিনি তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং যোগাযোগ পরিচালকের নাম ভুলে গিয়েছিলেন। এমনকি তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা জর্জ ক্লুনিকেও চিনতে পারেননি।
এমন পরিস্থিতিতে অনেক ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেনের পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেননি।
বইটিতে বাইডেনের একটি বিতর্কিত বিতর্কের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যা তাঁর দুর্বল স্বাস্থ্যের প্রমাণ হিসেবে দেখা হয়। বিতর্কের পরে, বাইডেনের উপদেষ্টারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
কিন্তু অনেকেই মনে করেন, বাইডেনের পক্ষে এই পরিস্থিতিতে পুনরায় নির্বাচনে জেতা কঠিন হবে।
এই বই প্রকাশের পরে, বাইডেনের স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে তাঁর শারীরিক সুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে, বাইডেনের ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে বাইডেন এবং তাঁর সমর্থকেরা এখনও পর্যন্ত তাঁর সুস্থতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তাঁরা মনে করেন, বাইডেন তাঁর দায়িত্ব পালনে সক্ষম এবং নির্বাচনে জয়ী হবেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন