নতুন ‘লিলো ও স্টিচ’ : পুরোনো গল্পের দুর্বল পুনর্নির্মাণ?
ডিজনির জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘লিলো ও স্টিচ’-এর নতুন সংস্করণ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মূল সিনেমার আকর্ষণ ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় অনেকে এই নতুন সংস্করণকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।
খবরটি পর্যালোচনা করে জানা যায়, সমালোচকদের চোখে নতুন এই সিনেমাটি যেন পুরনো গল্পের দুর্বল পুনরাবৃত্তি।
২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘লিলো ও স্টিচ’ ছিল ডিজনি স্টুডিওর অন্যতম সফল কাজ। ছবিতে বন্ধুত্বের এক অসাধারণ গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল, যেখানে দেখা যায়, একা এক কিশোরীর সঙ্গে এক ভিনগ্রহীর বন্ধুত্ব হয়। সিনেমার গল্প, চরিত্র এবং দৃশ্যায়নে ছিল এক ভিন্নতা, যা দর্শককে আকৃষ্ট করেছিল।
পুরনো সেই সাফল্যের রেশ ধরে নতুন করে সিনেমাটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও, সমালোচকেরা বলছেন, নতুন সংস্করণটি যেন সেই জাদু ধরে রাখতে পারেনি।
নতুন সিনেমায় লিলো চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাইয়া কেলোহা এবং নানি চরিত্রে সিডনি এলিজাবেথ আগুডং। ছবিতে স্টিচ-এর কণ্ঠ দিয়েছেন পুরনো সংস্করণের স্টিচের কণ্ঠশিল্পী ক্রিস স্যান্ডার্স।
গল্পের কাঠামো প্রায় একই রাখা হলেও, চিত্রনাট্য এবং নির্মাণশৈলীর দুর্বলতার কারণে অনেক সমালোচক একে হতাশাজনক বলছেন।
বিশেষ করে, পুরনো অ্যানিমেশন এবং হাতে আঁকা দৃশ্যের পরিবর্তে নতুন ছবিতে কম্পিউটার গ্রাফিক্সের (CG) ব্যবহার করা হয়েছে, যা অনেকের মতে সিনেমার আবেদন কমিয়ে দিয়েছে।
সমালোচকদের মতে, পরিচালক ডিন ফ্লাইশার ক্যাম্প সিনেমার দৃশ্যগুলোতে যথাযথ মনোযোগ দেননি।
গল্পের গতি এবং দৃশ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
মূল সিনেমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য, যা দর্শকদের মনে গভীর রেখাপাত করেছিল, নতুন সংস্করণে সেগুলোর দুর্বল চিত্রায়ণ করা হয়েছে।
এমনকি, হাওয়াই দ্বীপের মনোরম দৃশ্যগুলোও যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়নি।
নতুন ‘লিলো ও স্টিচ’ ছবিতে স্টিচ এবং লিলোর বন্ধুত্বের মুহূর্তগুলো আগের মতোই আছে, তবে সেগুলোকে আগের মতো আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা হয়নি।
অতিরিক্ত বিশ মিনিট যুক্ত করা হলেও নতুন দৃশ্যগুলো স্টিচের চরিত্রটিকে ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেনি।
সব মিলিয়ে, পুরনো সিনেমার জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে নির্মিত এই ছবিটি দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
যদি সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি পায়, তবে দর্শক কিভাবে গ্রহণ করে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
কারণ, ডিজনির এই ধরনের সিনেমা বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান