মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনপুষ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে দেশটির আইনসভা, হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে। এই বিলটি দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
বিলটি ইতোমধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগত বাধা অতিক্রম করেছে, যা রিপাবলিকানদের মধ্যে এর উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রমাণ করে।
এই বিলটি পাসের পথে ডেমোক্র্যাটদের বাধার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাউজে বিলটি পাস হলে তা ট্রাম্প এবং স্পিকার মাইক জনসনের জন্য একটি বড় বিজয় হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে, এর চূড়ান্ত পরিণতি এখনো অনিশ্চিত।
বিলটিতে প্রধানত দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে: স্বাস্থ্যখাতে সাহায্যকারী ‘মেডিকয়েড’ এবং খাদ্য সহায়তা বিষয়ক ‘ফুড স্ট্যাম্প’ কর্মসূচিতে কাটছাঁট এবং ২০১৬ সালের ট্যাক্স কাটস অ্যান্ড জবস অ্যাক্টের অধীনে প্রদত্ত কর ছাড়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করা। এই বিলের মাধ্যমে মূলত ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যক্তিগত আয়কর ছাড়কে স্থায়ী করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
রিপাবলিকান নেতারা এই বিলের সমর্থনে তাদের সমর্থন আদায়ের জন্য বিভিন্ন চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এই বিলের সমর্থনে রিপাবলিকানদের মধ্যে ঐকমত্য তৈরির জন্য কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, মেডিকয়েডের শর্তাবলী আরও দ্রুত কার্যকর করা এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে প্রণীত কিছু জ্বালানি-সংক্রান্ত কর সুবিধা বাতিল করার সিদ্ধান্ত।
এই বিলটি নিয়ে বিতর্কের কারণ হলো এর প্রভাব। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো দেশের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে।
এছাড়াও, কর ছাড়ের ফলে সরকারি কোষাগারে কতটা প্রভাব পড়বে, সেই বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। বিলটি আইনে পরিণত হলে, তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।
বিলটি এখন সিনেটে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, যেখানে রিপাবলিকানরা তাদের নিজস্ব পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছেন।
এই বিলের চূড়ান্ত পরিণতি এখনো অনেক অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছে। তবে, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা বিশ্ব অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন