খেলোয়াড় থেকে মাদক পাচারকারী: জয় ইমানুয়েল-থমাসের চাঞ্চল্যকর কাহিনী।
ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগের দল আর্সেনাল এবং ইপ্সউইচ টাউনের প্রাক্তন ফুটবলার, জয় ইমানুয়েল-থমাস মাদক পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (NCA) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ লক্ষ পাউন্ড মূল্যের, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক দশ কোটি টাকার বেশি, প্রায় ৬০ কিলোগ্রাম (১৩২ পাউন্ড) গাঁজা পাচারের মূল হোতা ছিলেন তিনি।
এনসিএ’র মতে, থাইল্যান্ড থেকে মাদক এনে তা যুক্তরাজ্যে সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেন এই ফুটবলার। এই কাজে তিনি দুজন নারীকে ব্যবহার করেন, যারা আসলে মাদক পাচারের বিষয়ে অবগত ছিলেন না। তাদের ধারণা ছিল, তারা স্বর্ণ পাচার করছেন এবং তাদের প্রত্যেককে দুটি করে স্যুটকেস বহন করতে বলা হয়েছিল। ব্যাংকক থেকে আসার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও, তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় পরে মুক্তি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গত বছর সেপ্টেম্বরে এই ঘটনার সময় জয় ইমানুয়েল-থমাস স্কটিশ ক্লাব গ্রীনকক মর্টনের হয়ে খেলতেন। ঘটনার পরেই ক্লাবটি তার সাথে চুক্তি বাতিল করে দেয়।
এনসিএ’র এক শীর্ষ কর্মকর্তা ডেভিড ফিলিপস এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সংগঠিত অপরাধ চক্রগুলো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং থাইল্যান্ড থেকে আসা উচ্চ গুণাগুণ সম্পন্ন গাঁজা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে পাচার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা, যেমন থমাস, পাচারকারীদের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ দেয়। তবে, ধরা পড়ার ঝুঁকি অনেক বেশি এবং এই পথে লাভের সম্ভাবনা খুবই কম।”
জয় ইমানুয়েল-থমাস একসময় আর্সেনালের যুব একাডেমি থেকে উঠে এসেছিলেন। এরপর তিনি ব্রিস্টল সিটি, কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স এবং কার্ডিফ সিটির মতো বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন। বর্তমানে, তিনি এই অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন এবং যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, মাদক পাচারের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। বাংলাদেশেও মাদকসংক্রান্ত অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
তথ্য সূত্র: CNN