ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা ছিলেন সারা মিলগ্রাম এবং ইয়ারন লিশিনস্কি।
জানা গেছে, তারা খুব শীঘ্রই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছিলেন। ঘটনার সময় হামলাকারী “ফ্রি প্যালেস্টাইন” বলে চিৎকার করে ওঠে।
ঘটনার শিকার সারা মিলগ্রাম ইসরায়েলি দূতাবাসের পাবলিক ডিপ্লোমেসি বিভাগে কাজ করতেন। তিনি ছিলেন একজন মার্কিন নাগরিক এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা, ধর্মীয় সম্পর্ক ও পরিবেশ রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ করতেন।
তিনি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যেকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করতেন। মিলগ্রাম কানসাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান এবং আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
অন্যদিকে, ইয়ারন লিশিনস্কি দূতাবাসের গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জার্মানি থেকে ইসরায়েলে এসে বসবাস শুরু করেন এবং জার্মানির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করতেন।
লিশিনস্কি একসময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পরবর্তীতে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি নিজেকে উৎসর্গ করেন। তিনি আন্তঃধর্মীয় আলোচনা এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর জোর দিতেন।
লিশিনস্কি আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে আরব বিশ্বের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক গভীর করার পক্ষে ছিলেন।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ইয়েচিয়েল লাইটার জানিয়েছেন, লিশিনস্কি জেরুজালেমে মিলগ্রামকে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। জানা যায়, এই ঘটনার কয়েক দিন পরেই তাদের বাগদানের পরিকল্পনা ছিল।
ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল ইহুদি জাদুঘরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন নিহতরা। এই অনুষ্ঠানে তরুণ কূটনীতিকদের মধ্যে ঐক্য ও ইহুদি ঐতিহ্য উদযাপনের কথা ছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মাইক হার্জগ।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস