ছেলের প্রেমিকার শোকবার্তা না পাঠানোয় এক মায়ের মন খারাপ।
বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে, কারো মৃত্যু হলে শোক প্রকাশ করা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে পরিবারের পরিচিতজন—সবার কাছ থেকেই সমবেদনা আশা করা হয়। এই শোক প্রকাশের ধরন বিভিন্ন হতে পারে, যেমন—সরাসরি দেখা করে, ফোন করে অথবা শোকবার্তা পাঠিয়ে।
সম্প্রতি, এমনই একটি ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে যেখানে এক মা তার ছেলের প্রেমিকার আচরণে আহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর ছেলের প্রেমিকা, গ্রেস, তার দাদার মৃত্যুতে কোনো শোকবার্তা পাঠাননি। ঘটনার সূত্রপাত হয় দু’মাস আগে, যখন ওই নারীর বাবা, অর্থাৎ ছেলের দাদা, হঠাৎ করে মারা যান।
পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতরা তখন শোক জানাতে ছুটে আসেন। কিন্তু ছেলের প্রেমিকা গ্রেসের কাছ থেকে কোনো শোকবার্তা আসেনি। মা জানান, তিনি গ্রেসের কাছ থেকে কোনো সহানুভূতি বা দুঃখ প্রকাশ দেখেননি।
ছেলের সঙ্গে গ্রেসের সম্পর্কের শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। ছেলের সূত্রে গ্রেসকে পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করানো হয়। পরিবারের সবাই তাকে সাদরে গ্রহণ করে এবং গ্রেসকেও বেশ মিশুক মনে হয়েছিল।
মা মাঝেমধ্যেই ছেলেকে গ্রেসের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেন এবং তাদের ভালো-মন্দ জানতে চাইতেন। কিন্তু এমন একটি দুঃখের মুহূর্তে গ্রেসের নীরবতা কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল।
মা মনে করেন, হয়তো গ্রেস তার ছেলেকে শোক জানানোর কথা বলেছিলেন, যা ছেলে হয়তো পরিবারকে জানায়নি। তবে, তাদের দুজনের কেউই শোকবার্তা না পাঠানোয় তিনি কিছুটা হতাশ হয়েছেন।
এখন তিনি দ্বিধায় আছেন যে, ছেলেকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা উচিত কিনা। যদি তিনি ছেলেকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে হয়তো ছেলে এটাকে তার প্রতি বা গ্রেসের প্রতি অভিযোগ হিসেবে দেখতে পারে। আবার, তিনি যদি কিছু না বলেন, তাহলে গ্রেসের প্রতি তার মনে একটি ক্ষোভ থেকে যেতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে তিনি একটি অনলাইন ফোরামে আলোচনা করেন। সেখানে অনেকেই মায়ের এই মনোভাবের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি। তাদের মতে, গ্রেস হয়তো ছেলের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছে এবং তার পরিবারের প্রতি শোকবার্তা না পাঠালেও, বিষয়টি এত গুরুত্ব দেওয়ার মতো নয়।
তবে, মা মনে করেন, আমাদের সমাজে শোক প্রকাশের যে সংস্কৃতি, সেই দিক থেকে গ্রেসের এই নীরবতা কিছুটা অপ্রত্যাশিত।
তথ্য সূত্র: পিপল