মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি হাই স্কুলে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম জেফরি জং, বয়স ২৭ বছর।
খবর অনুযায়ী, গত ১৯শে মে, সেমিনোল হাই স্কুলে ঘটনাটি ঘটে, যেখানে তিনি একজন অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক ও কর্মচারীরা জংকে এক ছাত্রকে মারধর করতে দেখেন। ছাত্রটি অটিজম আক্রান্ত এবং কথা বলতে পারে না।
ঘটনার সময় ছাত্রটি একটি ম্যাটের উপর শুয়ে ছিল, এমন সময় জং তার কাছে যান এবং তার পাঁজরে ও হাতে ঘুষি মারেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জং অন্য একটি বাচ্চার নাক থেকে রক্তপাতের জন্য ওই ছাত্রকে দায়ী করেন।
ঘটনার পরেই স্কুলের অন্য কর্মীরা এগিয়ে এসে জংকে থামান।
স্থানীয় পুলিশ, স্যানফোর্ড পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এসপিডি), জেফরি জং-কে গ্রেপ্তার করে এবং তার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আনে।
পরে ১,০০০ মার্কিন ডলার বন্ডের বিনিময়ে তাকে জামিন দেওয়া হয়।
সেমিনোল কাউন্টি পাবলিক স্কুলস (এসসিপিএস)-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, জং আগস্ট, ২০২৩ সাল থেকে বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন।
ঘটনার পর তাকে আর এই পদে রাখা হয়নি।
এসসিপিএস মুখপাত্র আরও জানান, “আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে আসা কোনো অভিযোগকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব। আমাদের ছাত্র এবং কর্মীদের নিরাপত্তা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার, এবং এই ধরনের কোনো আচরণ যা সেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, তা আমরা কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না।”
আহত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সাথে কাজ করার জন্য শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং মানসিকতার প্রয়োজন।
এই ধরনের শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা অপরিহার্য।
ফ্লোরিডার একটি শিক্ষা বিষয়ক সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা মার্গারেট থর্নটন জানান, “ওই ছাত্র এবং তার পরিবারের জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত, কারণ এই ঘটনার ফলে তাদের জীবন বদলে গেছে।”
তথ্য সূত্র: পিপল