ফ্লোরিডার কিসিমিতে একটি ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্টে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সেখানকার একটি চেইন রেস্টুরেন্ট, চেকর্স-এর এক কর্মচারী, গ্রাহকের সাথে বিতর্কের জেরে গুলি করে হত্যা করেছে।
অভিযুক্তের নাম ইলাইজা ট্র্যাভিস ম্যাকে, বয়স ২৩ বছর। পুলিশ তাকে প্রথম-ডিগ্রি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম ওয়েসলি রবার্টসন।
ঘটনাটি ঘটে গত ২১শে মে, বুধবার রাতে।
অভিযোগ উঠেছে, ওয়েসলি রবার্টসন তার খাবারের অর্ডার নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং অতিরিক্ত মেয়োনিজ চেয়েছিলেন।
এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ম্যাকে নামের ওই কর্মচারী রবার্টসনকে গুলি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবার্টসন প্রথমে গাড়ির জানালা দিয়ে এক নারী কর্মীর সাথে কথা বলছিলেন এবং ম্যানেজারকে ডাকার জন্য কয়েকবার অনুরোধ করেন।
এর কিছুক্ষণ পরেই ম্যাকে এসে উপস্থিত হন এবং তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ম্যাকে তার কোমর থেকে একটি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র বের করে রবার্টসনের বুকে গুলি করেন।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রবার্টসন সম্ভবত মেয়োনিজের প্যাকেট চেয়েছিলেন, যখন ম্যাকে এসে বলেন, “ওহ, আমি ভীতু,” এবং গুলি করেন।
চেকর্স-এর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ম্যাকে ড্রাইভ-থ্রু উইন্ডো দিয়ে বের হয়ে আসেন এবং দোকানের সামনে যান, যেখানে রবার্টসন পড়ে ছিলেন।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রবার্টসনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি মারা যান।
ঘটনার পর ম্যাকে পায়ে হেঁটে পালিয়ে যান। তবে পরে তাকে একটি হোটেলের সিঁড়ির নিচে লুকিয়ে থাকতে দেখা যায় এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের সময় ম্যাকে নাকি কয়েকবার জানতে চেয়েছিলেন, “লোকটি কি ঠিক আছে?”
ওসিয়োলা কাউন্টি শেরিফ অফিসের (OCSO) কর্মকর্তারা ২২শে মে, বৃহস্পতিবার ম্যাকে-কে গ্রেফতারের পর প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।
২৩শে মে, শুক্রবার ম্যাকে আদালতে প্রথম হাজিরা দেন এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় চেকর্স-এর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “ফ্লোরিডার কিসিমিতে আমাদের রেস্টুরেন্টে রাতের বেলা ঘটা এই ঘটনায় আমরা হতবাক এবং দুঃখিত।
একজন কর্মচারীর এই ধরনের আচরণ আমাদের হাজার হাজার কর্মীর মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করে না। আমরা পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা করছি এবং নিহত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাচ্ছি।
তথ্য সূত্র: পিপল