কর্মক্ষেত্রে মোবাইল ব্যবহারের জেরে সহকর্মীর সঙ্গে মনোমালিন্য, এমনই এক ঘটনার কথা সম্প্রতি জানা গেছে। ব্রিটেনের একটি অফিসে ঘটা এই ঘটনা বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে অফিসের নিয়মকানুন এবং সহকর্মীদের মধ্যেকার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, তাই নিয়ে অনেকে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন এক নারী তার সহকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ওই নারী জানান, তিনি অফিসের কাজে মাঝে মাঝে তার ব্যক্তিগত ফোনে আসা ডেলিভারি সংক্রান্ত কলগুলো ধরতেন। মূলত, দরজার বাইরের ক্যামেরা অ্যাপের মাধ্যমে তিনি ডেলিভারি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতেন।
কিন্তু তার এক সহকর্মী কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
ওই নারীর ভাষ্যমতে, অফিসে মোবাইল ব্যবহারের বিষয়ে সাধারণত নমনীয়তা বজায় রাখা হয়। জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প সময়ের জন্য ফোন ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলার প্রয়োজন হলে, ডেস্ক থেকে দূরে গিয়ে অথবা বিরতির সময় ফোন ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এক সহকর্মীর এমন আচরণকে তিনি ‘ছোটলোক মানসিকতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার মতে, এতে অফিসের কর্মপরিবেশে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে যখন ওই নারীর ম্যানেজারকে জানানো হয়, তখন ম্যানেজার জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই নারীর ফোন ব্যবহারের ধরনে কোনো সমস্যা দেখেন না। তবে, অভিযোগ আসার কারণে তাকে বিষয়টি জানাতে হয়েছে।
এই ঘটনার পরে, অনলাইনে অনেকে তাদের মতামত জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, সহকর্মীর এমন আচরণ অনুচিত। তাদের মতে, ম্যানেজার যদি বিষয়টি নিয়ে কোনো সমস্যা অনুভব না করেন, তবে তার এই বিষয়ে কথা বলা উচিত হয়নি।
আবার কেউ কেউ এমনও মন্তব্য করেছেন যে, ম্যানেজার হয়তো বিষয়টি ভালোভাবে নেননি, কিন্তু সরাসরি কিছু না বলে সহকর্মীর ওপর দোষ চাপিয়েছেন। অফিসের কর্মকর্তাদের এমন আচরণ অনেক সময় কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে।
কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং অফিসের নিয়মকানুন মেনে চলা খুবই জরুরি। সামান্য একটি ঘটনার জেরে কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে, যা অফিসের স্বাভাবিক পরিবেশকে ব্যাহত করে।
তাই, অফিসের কর্মীদের উচিত একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং অফিসের নিয়মকানুন মেনে চলা।
তথ্য সূত্র: পিপল