ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং বিচারকদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। সাধারণত, এই দিনে দেশের সামরিক বাহিনীর নিহত সদস্যদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
ট্রাম্প তার ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে তার প্রতিপক্ষদের ‘শত্রু’ এবং ‘দেশ ধ্বংসের চেষ্টা করা দল’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘অযোগ্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, বাইডেনের আমলে বিপুল সংখ্যক মানুষ অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করেছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পের এই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি।
ট্রাম্পের ভাষ্যে, বিচারকরা নাকি ‘দেশ-বিদ্বেষী’ এবং তারা অভিবাসী অপরাধীদের রক্ষা করছেন, যার ফলে তার দেশ থেকে বিতাড়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বিচারকদের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ এনেছেন, যা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে মেমোরিয়াল ডে-র একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে নিহতদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
তাই এই দিনে ‘শুভ মেমোরিয়াল ডে’ বলার প্রচলন নেই। ট্রাম্পের এই ধরনের মন্তব্য অনেককে হতাশ করেছে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প সম্প্রতি ওয়েস্ট পয়েন্টে অবস্থিত ইউএস মিলিটারি একাডেমিতে একটি বক্তৃতায় অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি তার নির্বাচনী সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন এবং সামরিক বাহিনীর কিছু নীতির সমালোচনা করেন।
তিনি সেনাবাহিনীর ‘বৈচিত্র্য’ বিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগের বিরোধিতা করেন এবং অতীতের সরকারগুলোর ‘যুদ্ধ-বাছাই’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
ট্রাম্পের এমন রাজনৈতিক মন্তব্য ঐতিহ্যগতভাবে অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এর আগে, তিনি বিভিন্ন সময়ে এমন কাজ করেছেন, যার কারণে সমালোচিতও হয়েছেন।
যেমন ২০১৮ সালে, তিনি টুইটারে ‘শুভ মেমোরিয়াল ডে’ লিখেছিলেন, যেখানে নিহতদের ত্যাগের চেয়ে নিজের রাজনৈতিক সাফল্যের ওপর বেশি জোর দিয়েছিলেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন