যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে কুখ্যাত গ্যাংস্টার ডিসাইপলস গ্যাংয়ের নেতা ল্যারি হভারের কারাদণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। মাদক ও চাঁদাবাজির দায়ে ফেডারেল আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।
তবে, এই মওকুফের ফলে এখনই তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ, এখনো তিনি একটি রাজ্য-আদালতের রায়ে সাজা ভোগ করছেন।
ল্যারি হভার একসময় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী গ্যাংস্টার ডিসাইপলস গ্যাংয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৪ বছর।
গ্যাংস্টার ডিসাইপলস একসময় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত গ্যাংটির সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ হাজারের মতো, যা যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩৫টি রাজ্যে বিস্তৃত ছিল।
হোভারকে প্রথমে ১৯৭৩ সালে, শিকাগোতে এক মাদক ব্যবসায়ীর খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ২০০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর ১৯৯৭ সালে ফেডারেল আদালত তাকে চাঁদাবাজি, মাদক চক্রে জড়িত থাকা এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়ে অভিযুক্ত করে।
ফেডারেল আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি হভারের ফেডারেল সাজা মওকুফ করেছেন। এর অর্থ হলো, তাঁর সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে হভারের মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে, যেহেতু তিনি রাজ্যের একটি মামলায় সাজা ভোগ করছেন, তাই এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।
হোভারের মুক্তির জন্য বেশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর আইনজীবী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তাঁদের মতে, হভার দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে ভালো আচরণ করেছেন এবং সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে আগ্রহী।
এই মুক্তি আন্দোলনে সঙ্গীতশিল্পী কানইয়ে ওয়েস্ট (ইয়ে) এবং র্যাপার ড্রাক-এর মতো তারকারাও সমর্থন জুগিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের ক্ষমা শুধুমাত্র ফেডারেল অপরাধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। রাজ্যের অপরাধের ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতা থাকে রাজ্যের গভর্নরের হাতে।
ল্যারি হভারের রাজ্যের মামলাটির বিষয়ে এখনো ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ল্যারি হভার বর্তমানে কলোরাডোর একটি উচ্চ-নিরাপত্তা কারাগারে বন্দী আছেন। তাঁর মুক্তির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
মুক্তি পেলে তাকে ইলিনয়ের একটি কারাগারে পাঠানো হতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা