যুক্তরাষ্ট্রের সেরা গলফারদেরও কুপোকাত করছে ওকmont-এর কঠিন মাঠ। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার ওকmont কান্ট্রি ক্লাবে চলমান ইউএস ওপেন যেন এক কঠিন পরীক্ষার মঞ্চ।
বিশ্বের সেরা গলফাররা এখানে এসে যেন কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। মাঠের প্রকৃতি, আবহাওয়া এবং খেলার ধরনের কারণে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দেরও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
স্কটি শেফলারের মতো খেলোয়াড়, যিনি ২০২৩ সালে অসাধারণ পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন, তিনিও এই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। ওকmont-এর মাঠটি গলফ খেলার জন্য পরিচিত কঠিন একটি স্থান।
এখানকার গভীর ঘাস, সরু পথ এবং বিপদজনক বাঙ্কারগুলো খেলোয়াড়দের জন্য এক দুঃস্বপ্ন। এমনকি সামান্য ভুলের কারণেও ভালো স্কোর করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে যেমন কিছু খেলোয়াড় ঈর্ষণীয় শট খেলছেন, তেমনি অনেক খেলোয়াড়কে হতাশ হতে হচ্ছে। খেলা শুরুর আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল বৃষ্টির।
বৃষ্টি হলে মাঠ আরও কঠিন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হচ্ছে। প্রথম রাউন্ড শেষে দেখা যাচ্ছে, শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের অনেকেই প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে পারেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদক জানাচ্ছেন, ওকmont-এর মাঠ খেলোয়াড়দের জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। মাঠের প্রতিটি অংশ, যেমন- টি থেকে শুরু করে সবুজ ঘাস পর্যন্ত, খেলোয়াড়দের দক্ষতার পরীক্ষা নিচ্ছে।
টমাস ডেটরি নামের একজন খেলোয়াড় জানিয়েছেন, “ভাগ্য ভালো যে আজ তেমন বাতাস ছিল না, তবে বাতাস বইলে এখানে খেলা কঠিন হয়ে যাবে।” প্রথম রাউন্ডে ভালো স্কোর করা সহজ ছিল না।
অনেকেই তাদের খেলার ধরনে পরিবর্তন এনেছেন। কেউ কেউ নার্ভাসনেসকে কাজে লাগিয়ে ভালো খেলতে চেষ্টা করেছেন। প্রথম রাউন্ড শেষে দেখা যায়, জে জে স্পাউন নামের একজন খেলোয়াড় তার নার্ভাসনেসকে কাজে লাগিয়ে ভালো ফল করেছেন।
তিনি বলেন, “আসলে আমি একটু নার্ভাস ছিলাম, তবে সেই নার্ভাসনেসকে কাজে লাগিয়ে আমি ভালো খেলার চেষ্টা করেছি।” এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের মধ্যে জোন রাম, যিনি একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, তিনিও ১ আন্ডার ৬৯ স্কোর করে নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “আমি খুবই খুশি, অসাধারণ খেলেছি।” ওকmont-এর কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে টিকে থাকতে হলে খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
কারণ, এই মাঠ কোনো ভুলকে ক্ষমা করে না। তথ্য সূত্র: সিএনএন