মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশের কিছু অংশ স্থগিত করেছেন দেশটির একজন ফেডারেল বিচারক।
শুক্রবার (২৯শে ডিসেম্বর) ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বিচারক ডেনিস ক্যাসপার এই রায় দেন। এই আদেশে নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছিল।
বিচারক ক্যাসপার-এর দেওয়া এই স্থগিতাদেশের ফলে এখন থেকে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে লিখিত কাগজপত্র দেখানোর যে নিয়ম ছিল, তা আপাতত কার্যকর হচ্ছে না।
এছাড়াও, নির্বাচনের দিনের পরে আসা ডাকযোগে পাঠানো ব্যালটগুলো গণনা করার বিষয়ে ট্রাম্পের নেওয়া পদক্ষেপও স্থগিত করা হয়েছে। তবে, এই স্থগিতাদেশ শুধু সেই রাজ্যগুলোর জন্য প্রযোজ্য, যারা আদালতের কাছে এই আদেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, নাগরিকত্বের প্রমাণ দাখিল করার এই নিয়ম অনেক যোগ্য ভোটারকে, বিশেষ করে যাদের কাছে দ্রুত নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নেই, তাদের নির্বাচনে নিবন্ধন করতে বাধা দেবে।
উদাহরণস্বরূপ, কলেজ ছাত্র বা অভিবাসীদের কথা বলা যেতে পারে, যাদের জন্ম সনদ বা পাসপোর্ট নাও থাকতে পারে।
বিচারক ক্যাসপার, যিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন, তাঁর রায়ে উল্লেখ করেছেন, এই নির্বাহী আদেশ রাজ্যগুলোর ওপর ভোটার নিবন্ধনের প্রক্রিয়া পরিবর্তনের জন্য অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করত এবং এর ফলে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন কঠিন হয়ে পড়ত।
ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাদা, ম্যাসাচুসেটস, অ্যারিজোনা, কলোরাডো, কানেকটিকাট, ডেলাওয়্যার, হাওয়াই, ইলিনয়, মেইন, মেরিল্যান্ড, মিশিগান, মিনেসোটা, নিউ জার্সি, নিউ মেক্সিকো, নিউ ইয়র্ক, রোড আইল্যান্ড, ভারমন্ট এবং উইসকনসিনসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করে।
এর আগে, ওয়াশিংটন ডিসি-র একজন ফেডারেল বিচারকও ভোটারদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দাখিলের বিষয়ে একই ধরনের রায় দিয়েছিলেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন