মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার স্টেট ফার্ম অ্যারেনাতে অনুষ্ঠিত একটি বিতর্কিত ‘নো কন্টেস্ট’ ফলাফলের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পল ক্রেগ এবং রডলফো বেলাতোর মধ্যকার ইউএফসি লড়াই। স্কটিশ ফাইটার পল ক্রেগের ‘অবৈধ কিক’-এর কারণে খেলাটি শেষ পর্যন্ত কোনো ফলাফল ছাড়াই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন রেফারি।
শনিবারের এই লাইট হেভিওয়েট ক্যাটাগরির লড়াইয়ের প্রথম রাউন্ডের শেষ মুহূর্তে, মাটি থেকে উঠে আসা ক্রেগের একটি কিক সরাসরি লাগে বেলাতোর মুখমণ্ডলে। সঙ্গে সঙ্গে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এই ব্রাজিলিয়ান ফাইটার।
রেফারি খেলাটি থামিয়ে দেন এবং ক্রেগকে ‘অবৈধ কিক’ করার দায়ে অভিযুক্ত করেন।
ঘটনার পরে বেলাতোর আঘাতের তীব্রতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। প্রাক্তন এমএমএ ফাইটার জাস্টিন লেস্কো একে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “এটা কি ইউএফসির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ‘ফ্লপ’, নাকি রডলফো বেলাতো সত্যি আহত হয়েছিলেন?”
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার জবাবে বেলাতো তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “আমি ইন্টারনেটে কিছু কথা দেখেছি, যেখানে আমাকে অভিনেতা বলা হয়েছে। যখন আমি মাটিতে ছিলাম, তখন আমি ভাবিনি যে আমার মুখে এমন কিক লাগবে।
কিকটি খুব জোরালো ছিল, আমি বিচারককে অভিযোগ করতে তাকাতেই আমার শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে উঠলো এবং আমার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেল… এরপর আমার আর কিছু মনে নেই।
যারা আমাকে দীর্ঘদিন ধরে চেনে, তারা জানে আমি এমনটা কখনোই করি না, আমি কখনো লড়াই থেকে পালাই না।”
অন্যদিকে, এই ঘটনার পর পল ক্রেগ তার প্রতিপক্ষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি মনে করি, প্রতিপক্ষের এমন আচরণের জন্য তাকে দোষ দেওয়া উচিত নয়।
এটা আমারও ভুল ছিল। আমরা সবাই লড়াকু, আমরা সবাই ইউএফসিতে এসেছি আমাদের ক্যারিয়ারের সেরাটা দিতে।”
এই লড়াইটি ছিল ক্রেগের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর আগে তিনি টানা তিনটি লড়াইয়ে হেরেছিলেন এবং এটি ছিল তার ইউএফসি চুক্তির শেষ লড়াই। অপ্রত্যাশিত এই ফলাফলের কারণে তিনি হতাশ হয়েছেন।
খেলাটি ‘নো কন্টেস্ট’-এ শেষ হওয়ায় ক্রেগ কিছুটা স্বস্তি পেলেও, জয় বঞ্চিত হওয়ায় তার মধ্যে হতাশা কাজ করছে।
তিনি বলেন, “আমি এখন পর্যন্ত সেরা ফর্মে আছি। আমি এই বিভাগে নিজের জায়গা তৈরি করতে চেয়েছিলাম এবং বলতে চেয়েছিলাম, ‘আমি ফিরে এসেছি’। তবে এই মুহূর্তে আমি মনে করি, বেলাতোকে দোষারোপ করা উচিত নয়।”
তথ্য সূত্র: সিএনএন