মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি (DNC)-র অভ্যন্তরে অস্থিরতা বাড়ছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রভাবশালী দুই শ্রমিক নেতা।
এদের মধ্যে রয়েছেন আমেরিকান ফেডারেশন অফ টিচার্স-এর প্রধান র্যান্ডি ওয়েইনগার্টেন এবং আমেরিকান ফেডারেশন অফ স্টেট, কাউন্টি অ্যান্ড মিউনিসিপ্যাল এমপ্লয়িজ-এর প্রেসিডেন্ট লি সন্ডার্স।
জানা গেছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান কেন মার্টিনের সঙ্গে মতবিরোধের জের ধরেই তাদের এই পদত্যাগ।
মূলত দলের নীতি নির্ধারণ এবং বিভিন্ন কমিউনিটিকে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের দুর্বলতা নিয়ে তারা অসন্তুষ্ট ছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা, যা তাদের আসন্ন নির্বাচনী প্রচারণার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
ওয়েইনগার্টেন তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন, তিনি দলের বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না।
তিনি মনে করেন, আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে এবং তাদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করা উচিত। অন্যদিকে, সন্ডার্স বলেছেন, এই মুহূর্তে নতুন কৌশল ও চিন্তাভাবনার প্রয়োজন।
তার মতে, পুরনো ধ্যানধারণা থেকে বেরিয়ে এসে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।
এই দুই নেতার পদত্যাগের আগে, দলের ভাইস চেয়ার ডেভিড হগও তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন।
দলের অভ্যন্তরীণ নিয়ম ভঙ্গের কারণে তার নির্বাচন বাতিল হওয়ার পরেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।
হগের পদত্যাগও দলের মধ্যে চলমান বিভেদকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটিক পার্টি হলো দেশটির দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের একটি। বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে তারা জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে।
শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর নেতাদের দল পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, কারণ তারা বিপুল সংখ্যক ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করেন।
এই প্রেক্ষাপটে, ওয়েইনগার্টেন ও সন্ডার্সের পদত্যাগ নিঃসন্দেহে দলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
দলের অভ্যন্তরে মতানৈক্য এবং নেতৃত্বের দুর্বলতা কাটিয়ে কিভাবে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত হয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: CNN