মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে, যা আগে ওয়াশিংটন এড়িয়ে চলত। বুধবার হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে যে কাতারের রাজধানী দোহায় এই আলোচনা হয়েছে। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনা এড়িয়ে চলত। কিন্তু গত মাসে হওয়া এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হামাসের সঙ্গে আলোচনা হয়। মূলত, হামাসের হাতে বন্দী আমেরিকানদের মুক্তি এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা নিয়ে এই আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় মিশরের ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা সহায়তা করেছেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট আলোচনার বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রতিনিধিদের ‘যে কারো সঙ্গে কথা বলার’ অনুমতি দিয়েছেন। লেভিট আরও জানান, ইসরাইলের সঙ্গে সরাসরি হামাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে পরামর্শ করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমেরিকান নাগরিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। হামাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই সরাসরি আলোচনাকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় সংক্ষিপ্তভাবে সমর্থন করেছে।
বর্তমানে হামাসের হাতে জীবিত ২৪ জন জিম্মি রয়েছে বলে জানা গেছে, যাদের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিকও রয়েছেন। এছাড়াও, আরও অন্তত ৩৫ জনের মরদেহ গাজায় আটকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত অ্যাডাম বোহলার। তিনি এর আগে আব্রাহাম চুক্তির আলোচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। হামাস কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানা যায়, আলোচনায় তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি, তবে ‘পদক্ষেপটি নিজেই গুরুত্বপূর্ণ’। তাদের মতে, ভবিষ্যতে আরও আলোচনা হতে পারে।
এই আলোচনার মধ্যেই ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। হামাস যদি নতুন যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি না হয়, তবে ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাপ দেবেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিনিময়ে হামাসকে তাদের হাতে থাকা জিম্মিদের অর্ধেক মুক্তি দিতে হবে। তবে ইসরাইল ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি নিয়ে কোনো কথা বলেনি, যা প্রথম ধাপের আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস