শিরোনাম: কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা: ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো উত্তর কোরিয়া, সামরিক মহড়া চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া
সোমবার সকালে উত্তর কোরিয়া একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া তাদের বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে। উত্তর কোরিয়া এই মহড়াকে তাদের উপর আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে দেখে থাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম হাওয়াংহাই প্রদেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়। এটি চলতি বছরে উত্তর কোরিয়ার পঞ্চম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। যদিও ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পাল্লা বেশি ছিল না, তবে দক্ষিণ কোরিয়া তাদের নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় রাখছে।
এর আগে, সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী তাদের ‘ফ্রিডম শিল্ড’ নামের বৃহৎ যৌথ মহড়া শুরু করে। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই মহড়াকে ‘আগ্রাসী ও সংঘাতপূর্ণ যুদ্ধ মহড়া’ হিসেবে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, এই মহড়া কোরিয়া উপদ্বীপে ‘শারীরিক সংঘাত’ সৃষ্টি করতে পারে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার দেশের পারমাণবিক শক্তি বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন এবং একে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলার উপায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে, সামরিক মহড়া শুরুর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি ঘটনা ঘটে। গত সপ্তাহে প্রশিক্ষণ মহড়ার সময় দক্ষিণ কোরিয়ার দুটি যুদ্ধবিমান ভুল করে একটি বেসামরিক এলাকায় বোমা ফেলে। এতে প্রায় ৩০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। বোমা হামলায় আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
এই ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ জেনারেল লি ইয়ংসু দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটা উচিত হয়নি এবং ভবিষ্যতে আর কখনো ঘটবে না।’ ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তাদের লাইভ-ফায়ার প্রশিক্ষণ স্থগিত করেছে। তবে বিমান বাহিনীর কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস