বাস্কেটবল বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ (এমভিপি)। এই খেতাব জেতার দৌড়ে এবার এগিয়ে রয়েছেন দুই তারকা খেলোয়াড়—নিকোলা জোকিচ এবং শাই গিলজিয়াস-আলেক্সান্ডার। জোকিচ এর আগে তিনবার এই পুরস্কার জিতেছেন, যা তাকে কিংবদন্তিদের সারিতে স্থান দিয়েছে। অন্যদিকে, গিলজিয়াস-আলেক্সান্ডার এই প্রথমবার এমভিপি জেতার সম্ভাবনা তৈরি করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ) সারা বিশ্বে বাস্কেটবল খেলার সবচেয়ে বড় আসর। এখানে খেলোয়াড়দের অসাধারণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ এমভিপি পুরস্কার দেওয়া হয়। এই পুরস্কার খেলোয়াড়ের দক্ষতা, দলের প্রতি অবদান এবং খেলার ধরনে প্রভাব ফেলে। এমভিপি জয়ী খেলোয়াড় একদিকে যেমন জনপ্রিয়তা পান, তেমনি তাদের দলও আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
নিকোলা জোকিচ ডেনভার নাগেটস দলের হয়ে খেলেন। তিনি গত চার বছরের মধ্যে তিনবার এই পুরস্কার জিতেছেন। বাস্কেটবলের ইতিহাসে বিল রাসেল, উইল্ট চেম্বারলেইন এবং ল্যারি বার্ডের মতো কিংবদন্তিরা টানা তিনবার এই খেতাব জিতেছেন। জোকিচ সেই বিরল কৃতিত্বের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে এবার তার সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই বছর তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন ওকলাহোমা সিটি থান্ডারের শাই গিলজিয়াস-আলেক্সান্ডার।
গিলজিয়াস-আলেক্সান্ডার দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। তিনি বর্তমানে লিগে সর্বোচ্চ স্কোরার এবং তার দল ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে শীর্ষস্থানে রয়েছে। বাস্কেটবলবোদ্ধারা মনে করছেন, তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে তার এই অসাধারণ পারফরম্যান্স এমভিপি জেতার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণত, নির্বাচকরা নতুন খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করতে বেশি আগ্রহী হন, যা খেলার আকর্ষণ বাড়ায়। অতীতেও এমনটা দেখা গেছে, যখন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের টপকে নতুন তারকারা এমভিপি জিতেছেন।
জোকিচ এবারও দারুণ খেলছেন। তিনি রিবাউন্ড, স্কোরিং এবং অ্যাসিস্ট—সব বিভাগেই শীর্ষ খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু গিলজিয়াস-আলেক্সান্ডারের দলের জয় এবং তার ব্যক্তিগত স্কোরিংয়ের কারণে পুরস্কারের দৌড়ে তিনি কিছুটা পিছিয়ে আছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, শেষ পর্যন্ত এই লড়াইয়ে গিলজিয়াস-আলেক্সান্ডারই বাজিমাত করতে পারেন।
তবে, জোকিচের ভক্তরা তার সাম্প্রতিক কিছু অসাধারণ পরিসংখ্যান তুলে ধরছেন। যেমন, ফিনিক্স সানসের বিপক্ষে তিনি এক ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট, ২১ রিবাউন্ড এবং ২২টি অ্যাসিস্ট করেছেন। এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে অসাধারণ। যদিও এমভিপি জেতার ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত দলের জয় এবং খেলোয়াড়ের ধারাবাহিকতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
বর্তমানে, বাজি ধরার বাজারেও গিলজিয়াস-আলেক্সান্ডারকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে, তিনিই হয়তো এবার এমভিপি খেতাব জিতবেন। তবে, বাস্কেটবলে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। খেলোয়াড়ের ইনজুরি কিংবা দলের পারফরম্যান্সের অবনতি—পুরস্কারের ভাগ্য নির্ধারণে এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান