**চেলটেনহ্যাম फेस्टिवल: দর্শকশূন্যতার দিকে, ঘুরে দাঁড়াতে কর্তৃপক্ষের চেষ্টা**
যুক্তরাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ‘চেলটেনহ্যাম फेस्टिवल’–এর দর্শক সংখ্যা বিগত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
কোভিড মহামারীর সময়ে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামের কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে ২০২২ সালে যখন আবার উৎসব মুখরিত হয়ে উঠেছিল, তখনও যেনো শঙ্কা কাটেনি।
কারণ, পরের বছর থেকেই টিকিট বিক্রি কমে যাওয়া উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর্থিক সংকট এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিকে এই দর্শক হ্রাসের প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ দর্শক কমেছে।
উৎসবের প্রথম তিন দিনের দর্শক সংখ্যা কমেছে ২২ শতাংশ।
ক্লাব এনক্লোজারে বসে রেস দেখার টিকিটের দাম ছিল প্রায় ১৩ হাজার টাকার মতো, যা অনেকের কাছেই বেশ ব্যয়বহুল ছিল।
যাতায়াত খরচ এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ যোগ করলে এই সংখ্যাটা আরও বাড়ে।
অন্যদিকে, অনেক দর্শক এখন বিকল্প উপায়ে এই উৎসব উপভোগ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।
বিভিন্ন পাব ও বারে বড় পর্দায় রেসের সরাসরি সম্প্রচার এবং স্বল্প মূল্যে পানীয়ের ব্যবস্থা থাকায় অনেকে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।
চেলটেনহ্যাম फेस्टिवल-এর গুরুত্ব শুধু একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হিসেবেই নয়, বরং স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর গভীর প্রভাব রয়েছে।
এখানকার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেকেই এই উৎসবের দিকে তাকিয়ে থাকেন।
উৎসবের অর্থনৈতিক প্রভাব প্রায় ২৯০০ কোটি টাকার সমান।
কর্তৃপক্ষের হিসেবে, শুধু ঘোড়দৌড় থেকে বাজি বাণিজ্যের পরিমাণও বিশাল।
পরিস্থিতি পরিবর্তনে উদ্যোগী হয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গাই ল্যাভেন্ডার।
তিনি এই দর্শক-স্বল্পতা কাটিয়ে পুনরায় উৎসবের আকর্ষণ বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এর মধ্যে অন্যতম হলো গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা করা এবং দর্শকদের জন্য পানীয়ের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা।
এছাড়াও, রেসের নিয়ম-কানুন এবং প্রতিযোগিতায় বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে, যাতে আরও বেশি সংখ্যক দর্শক আকৃষ্ট হয়।
গাই ল্যাভেন্ডার মনে করেন, মাঠের সুযোগ-সুবিধা এবং প্রতিযোগিতার মান উন্নত করার মাধ্যমে দর্শকদের অভিজ্ঞতা আরও আনন্দ-দায়ক করা সম্ভব।
তিনি বলেন, “আমরা জানি, কেন দর্শকরা আগের মতো আসছেন না।
সেই সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা কাজ করছি।”
ল্যাভেন্ডার আরও যোগ করেন, “আমরা চাই, যারা এখানে আসবেন, তারা যেন দারুণ একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যান।
যদি আমরা সেটা করতে পারি, তাহলে এই উৎসবের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবারও বাড়বে।”
চেলটেনহ্যাম फेस्टिवल এখন এক নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
কর্তৃপক্ষ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটা সফল হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান