ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফ, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখা দিলেও, ইউরোপকে রাশিয়ার উপর আর্থিক চাপ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার জব্দকৃত সম্পদ ইউক্রেনের পুনরুদ্ধারের কাজে ব্যবহার করতে হবে। খবরটি প্রকাশ করেছে ‘দ্য গার্ডিয়ান’।
সৌদি আরবের জেদ্দায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু হওয়ার প্রাক্কালে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ, আন্দ্রেই ইয়ারমাক, ইউরোপকে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং ভবিষ্যতে তা প্রতিরোধ করতে এই ঐক্য জরুরি।
ইয়ারমাক মনে করেন, ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোতে রাখা রাশিয়ার সকল সম্পদ অবশ্যই অবরোধের আওতায় রাখতে হবে এবং সেই থেকে অর্জিত মুনাফা ইউক্রেনের আর্থিক পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবহার করা উচিত। তাঁর মতে, যদি রাশিয়া এই তহবিল ফেরত পায়, তবে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফ বলেন, পশ্চিমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা থাকা প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ইউরোর (২৫৩ বিলিয়ন পাউন্ড) রাশিয়ান সম্পদ ইউরোপের হাতে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। তিনি ইউরোপকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা শিথিল না করার আহ্বান জানান। ইয়ারমাক যোগ করেন, রাজনৈতিক ও আর্থিক চাপ বজায় রাখতে হবে, যাতে রাশিয়া পুনরায় সংঘাত শুরু করতে ভয় পায়।
অন্যদিকে, ইয়ারমাক যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধবিরতি এখন অনেক কাছাকাছি।” তিনি আরও যোগ করেন, “ইউক্রেন এবং তার মিত্রদের মধ্যে সাম্প্রতিক আলোচনাগুলো এই আশা জাগিয়েছে যে, ইউক্রেনীয় জনগণ খুব শীঘ্রই যুদ্ধের আগে, ২০১৪ সালের শান্তির জীবনে ফিরে যেতে পারবে।”
তবে, তিনি জোর দিয়ে বলেন, শান্তি অবশ্যই ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই হতে হবে। ইয়ারমাক ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন এবং বলেন, শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা আর্থিক ব্যবস্থার ফাঁকগুলো বন্ধ করবে, যা ইউরোপীয় ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাশিয়ার যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করা থেকে বিরত রাখবে।
আন্দ্রে ইয়ারমাক বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে ইউরোপকে প্রতিরক্ষা খাতে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বাড়াতে হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান