চেল্টেনহ্যামের ময়দানে এক আবেগঘন দিনে মেরিন ন্যাশনালের জয়
যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী চেল্টেনহ্যাম রেসকোর্সে অনুষ্ঠিত কুইন মাদার চ্যাম্পিয়ন চেজ ঘোড়দৌড়ে জয়লাভ করেছে মেরিন ন্যাশনলে। তবে এই জয় ছিল শুধু একটি ঘোড়দৌড়ের ফলাফলের চেয়ে অনেক বেশি কিছু। এটি ছিল প্রয়াত জকি মাইকেল ও’সুলিভানের প্রতি উৎসর্গীকৃত এক গভীর শ্রদ্ধার্ঘ্য, যিনি একসময় এই ঘোড়ার হয়ে সাফল্যের স্বাদ এনেছিলেন।
মেরিন ন্যাশনালের প্রশিক্ষক ব্যারি কনেলের মতে, “গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছু যেন খুবই কঠিন ছিল। মাইকেলের সাথে এই ঘোড়াটির পথচলা শুরু হয়েছিল, সে তার হয়ে সব রেসে অংশ নিয়েছিল।” জকি হিসেবে ও’সুলিভানের অসামান্য অবদান ছিল, যা আজও ভুলবার নয়।
বুধবারের এই প্রতিযোগিতায় মেরিন ন্যাশনালের জকি ছিলেন শন ফ্লানাগান। তিনি ও’সুলিভানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “আমরা সবাই, বিশেষ করে আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের জকিরা, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শোকাহত। আমি শুধু আজ ঘোড়াটিকে সঠিক পথে চালিত করেছি, আসল কৃতিত্ব মাইকেলের।”
প্রতিযোগিতায় অন্যতম ফেভারিট ছিল নিকি হেন্ডারসনের প্রশিক্ষণ দেওয়া জনবন। কিন্তু দৌড়ের শুরুতে কিছুটা পিছিয়ে পড়ায় শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়নি। জনবনের প্রশিক্ষক হেন্ডারসন জানান, শুরুর দিকের কিছু সমস্যার কারণে জনবনকে পিছিয়ে পড়তে হয়।
মেরিন ন্যাশনালের এই জয় যেন ও’সুলিভানের স্মৃতিকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। জয়ের পর ব্যারি কনেল বলেন, “আমি ১৯৮০-এর দশক থেকে এখানে আসছি, একজন দর্শক হিসেবে। এই চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাটা সবসময় আমার স্বপ্ন ছিল। এটি গতির এক দারুণ পরীক্ষা। ঘোড়াগুলো শেষ পর্যন্ত ক্লান্ত হয় না।”
এই জয়ে শুধু মেরিন ন্যাশনালের মালিক বা প্রশিক্ষকই নন, বরং ঘোড়দৌড় প্রেমীদের মাঝেও আনন্দের ঢেউ লেগেছে। এই জয় যেন প্রমাণ করে, খেলাধুলা শুধু প্রতিযোগিতাই নয়, এটি ভালোবাসার এবং স্মৃতিরও এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এছাড়াও, একই দিনে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড অ্যানুয়াল হ্যান্ডিক্যাপ চেজে জয়লাভ করে জ্যাজি ম্যাটি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান