মোঃ মেহেদী হাসান, কাউখালী।
সারাদেশের ন্যায় পিরোজপুরের কাউখালীতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী “স্ট্যান্ড ফর এনআইডি” শীর্ষক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কাউখালী উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
জানা যায় গত ৫ই মার্চ জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবী জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে কমিশন একমত পোষণ করে ৯ তারিখে সরকারকে চিঠি ও পরামর্শ প্রদান করেন।
কিন্তু কমিশনের কাছ থেকে সাড়া পেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সাড়া না পাওয়ায়, অদ্য ১৩ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) কাউখালী উপজেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ের সন্মুখে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এবং ভোটার তালিকা সেবা কার্যক্রম, একইসাথে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
উক্ত কর্মসূচীতে অংশগ্রহনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, ভোটার তালিকার ডাটাবেজ হতে জাতীয় পরিচয়পত্রের উৎপত্তি।
গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কার্যক্রম সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করে আসছে। বিগত সরকার ২০২৩ সালে একটি আইন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সেবা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু রাজনৈতিক দলসহ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা উল্লেখিত সেবাটি নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার মতামত প্রকাশ করেন।
অতিসম্প্রতি বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেয়ার আইন বাতিল করে তা, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।কিন্তু ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, আরেকটি চক্র আলাদা কমিশন গঠন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) তাদের অধীনে নেয়ার পাঁয়তারা করিতেছে যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
তারা আরও বলেন, আমাদের উল্লিখিত দাবীর বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেলে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক পরবর্তীতে কঠোরতর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উক্ত মানব বন্ধব কর্মসূচিতে কাউখালী উপজেলার নির্বাচন অফিসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ, শিক্ষক,শিক্ষার্থী এবং সেবাগ্রহীতারাও অংশগ্রহণ করেন।