বিশ্বের সাতটি প্রভাবশালী দেশের জোট জি-সেভেন (G7) চীনের বিরুদ্ধে সমুদ্র নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বেইজিং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
জি-সেভেন দেশগুলোর অভিযোগের জবাবে চীন বলেছে, তাদের (জি-সেভেন) ‘পক্ষপাতদুষ্ট, বিদ্বেষপূর্ণ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ মনোভাব রয়েছে।
কানাডার কুইবেকের লা মালবাইয়ে অনুষ্ঠিত জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে প্রকাশিত এক যুক্ত বিবৃতিতে চীনকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, দেশটি ‘অবৈধ, উস্কানিমূলক, জোরপূর্বক এবং বিপজ্জনক’ পদক্ষেপের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।
এর মধ্যে ভূমি পুনরুদ্ধার ও সামরিক ঘাঁটি তৈরি করাও অন্তর্ভুক্ত। জি-সেভেন তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য হিসেবে উল্লেখ করেছে।
জবাবে, কানাডায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জি-সেভেনকে একহাত নেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জি-সেভেন পুরনো ধ্যান-ধারণা থেকে বের হতে পারেনি, তারা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে এবং বেইজিংকে হেয় করছে।
চীন এই ধরনের অভিযোগকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরো অংশটির ওপর নিজেদের মালিকানা দাবি করে চীন, যার মধ্যে দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়।
এই সমুদ্র নিয়ে ফিলিপাইনের সঙ্গে চীনের বিরোধ রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র।
জাতিসংঘের একটি আদালতের রায়কে চীন প্রত্যাখ্যান করেছে, যেখানে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মনে করে চীন।
প্রয়োজনে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছে তারা।
সম্প্রতি, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাঝে তাসমান সাগরে সামরিক মহড়া চালায় চীন।
তবে মহড়া শুরুর মাত্র ৩০ মিনিট আগে অস্ট্রেলিয়ার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জানতে পারে।
এরপর বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোর পথ পরিবর্তন করতে হয়।
জি-সেভেন-এর বিবৃতিতে চীনের এই সামরিক মহড়ার কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তবে তারা তাইওয়ান প্রণালী, দক্ষিণ চীন সাগর, লোহিত সাগর ও কৃষ্ণ সাগরে চীনের ক্ষমতা বিস্তারের চেষ্টার সমালোচনা করেছে।
চীনের নৌবাহিনী বিশ্বের বৃহত্তম এবং তাদের কাছে তিনটি বিমানবাহী জাহাজ রয়েছে, চতুর্থটির নির্মাণকাজ চলছে।
জিবুতিতে তাদের একটি নৌঘাঁটি রয়েছে এবং তারা নিয়মিতভাবে তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস