ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থনে সম্প্রতি রিও ডি জেনেইরোর কোপাকাবানা সমুদ্র সৈকতে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সমাবেশে কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেন, যারা বলসোনারোর প্রতি সমর্থন জানান এবং ২০২৩ সালের ৮ই জানুয়ারির দাঙ্গায় অভিযুক্তদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ওই দিন বলসোনারোর সমর্থকরা দেশটির কংগ্রেস ভবন, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালিয়েছিল।
বলসোনারো বর্তমানে ব্রাজিলের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি তার উত্তরসূরি, বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার বিরুদ্ধে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত।
বলসোনারো চান ২০২৬ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে, কিন্তু দেশটির নির্বাচন কমিশন তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে। এর কারণ, তিনি দেশটির ইলেক্ট্রনিক ভোটিং সিস্টেমে কারচুপির ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছিলেন।
বলসোনারো এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করার চেষ্টা করছেন, এবং তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো রাজনৈতিকভাবে ফিরে আসার আশা করছেন।
সমাবেশে বক্তৃতাকালে বলসোনারো বলেন, “যারা আমাকে পছন্দ করেন না, তাদের আমি বলতে চাই, বলসোনারোকে ছাড়া নির্বাচন ব্রাজিলের গণতন্ত্রের পরিপন্থী।” তিনি তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি এখানে এসেছি আমার সন্তানদের জন্য একটি সুন্দর ব্রাজিল রেখে যেতে। আমরা এখন একটি কঠিন সময় পার করছি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল বলসোনারোর রাজনৈতিক ক্ষমতা জাহির করা এবং ২০২৬ সালের নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছার জানান দেওয়া। বিশ্লেষক আন্দ্রো রোসা মনে করেন, এর মাধ্যমে বলসোনারো তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চেয়েছেন।
এদিকে, লুলা দা সিলভার শিবিরেও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ৭৯ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য এবং মূল্যস্ফীতির কারণে তার জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় তারা চিন্তিত।
আগামী ২৫শে মার্চ ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট বিবেচনা করবে বলসোনারোর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ আছে কিনা এবং তার বিচার করা হবে কিনা। দোষী সাব্যস্ত হলে তার ৪০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা