ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন যে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার অনুমতি ছাড়াই ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে পারে। যদিও এই সেনা পাঠানোর সংখ্যা খুব বেশি হবে না, তবে কয়েক হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হতে পারে।
ম্যাক্রোঁ’র মতে, ভবিষ্যতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলে, ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে এইসব সৈন্যদের মোতায়েন করা হবে। সৈন্যদের মূল কাজ হবে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা এবং ইউক্রেনকে দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা প্রদান করা। এর মাধ্যমে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
ন্যাটো জোটের সদস্যভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা এই সেনারা ইউক্রেনের জন্য “নিরাপত্তার গ্যারান্টি” হিসেবে কাজ করবে। ম্যাক্রোঁ জোর দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং মিত্র দেশগুলোর সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়ার অনুমতির প্রয়োজন নেই।
যদি ইউক্রেন তাদের ভূখণ্ডে মিত্র শক্তি চায়, তাহলে রাশিয়া তা গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রাখে না।
এই বিষয়ে আলোচনার জন্য ম্যাক্রোঁ সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে এবং মঙ্গলবার জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর আগে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার শনিবার ৩০ জন আন্তর্জাতিক নেতার সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হন।
এই বৈঠকে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ডের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। স্টারমার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি করাতে চাপ অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। একইসাথে তিনি একটি শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠনের পরিকল্পনাকে আরও সক্রিয় করার ওপর জোর দেন।
ম্যাক্রোঁ মনে করেন, রাশিয়া আলোচনার টেবিলে বসতে আন্তরিক নয়। তিনি বলেন, রাশিয়া “সত্যিকার অর্থে শান্তি চায়” এমনটা মনে হয় না। বরং, পুতিন “সংঘাত বাড়িয়ে তুলছেন” এবং “সবকিছু পেতে চান, তারপর আলোচনা করতে চান”।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের মতে, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে তারা যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান