শিরোনাম: ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা, অনির্দিষ্টকালের জন্য তা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে তারা ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত রাখবে। শনিবার চালানো প্রথম দফা হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে।
এই হামলার মূল উদ্দেশ্য হলো লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের আক্রমণের জবাব দেওয়া। হোয়াইট হাউজ সূত্রে খবর, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এই অঞ্চলে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব বলেছেন, “হুতিরা যদি তাদের জাহাজ এবং ড্রোনগুলোতে হামলা বন্ধ করে, তবেই এই অভিযান বন্ধ হবে। অন্যথায়, তা চলবে।” মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, হামলাগুলোতে “বহু হুতি নেতাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং তাদের নির্মূল করা হয়েছে”।
তিনি আরও বলেন, “ইরানকে চরম বার্তা দিতেই এই ব্যাপক শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে।” অন্যদিকে, ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “হুতি সন্ত্রাসীদের সময় শেষ হয়ে এসেছে এবং তাদের আক্রমণ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।”
তিনি ইরানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “হুতি সন্ত্রাসীদের সমর্থন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।” যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের পর ইরানের বিপ্লবী গার্ডের শীর্ষ কমান্ডার বলেছেন, হুতিরা তাদের নিজস্ব কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইয়েমেনে চালানো এই হামলাকে জাতিসংঘের সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে বর্ণনা করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, “ইরানি পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করার কোনো অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।”
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক পদক্ষেপের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড শনিবারের হামলাকে ইয়েমেনে একটি বৃহত্তর অভিযানের শুরু হিসেবে বর্ণনা করেছে।
প্রসঙ্গত, হুতি বিদ্রোহীরা ফিলিস্তিনি ও হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। তারা গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের দিকেও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান