নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে এক ব্যক্তিকে আগুনে পোড়ানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার ভোরে এই ঘটনাটি ঘটে, যেখানে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী ঘটনার পর পালিয়ে যায় এবং তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সম্ভবত একটি ‘প্যাট্রন’ (Patron) ব্র্যান্ডের তেকিলা বোতল থেকে দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের শিকার ব্যক্তি প্রায় একশ ফুট দৌড়ে যান, এরপর একজন দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে এসে একটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নেভান।
এই ঘটনার কয়েক মাস আগে, নিউ ইয়র্কের একটি সাবওয়ে ট্রেনেও একই ধরনের অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে ৫৬ বছর বয়সী ডেব্রিনা কাওয়াম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত সেবাস্তিয়ান জাপেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টাইমস স্কয়ারের এই ঘটনা শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভোরবেলা এই এলাকা বেশ ভীতিজনক হয়ে ওঠে।
বিশেষ করে সকাল ৮টা বা ৯টার আগে এখানে পুলিশের উপস্থিতি খুবই কম থাকে।
আসন্ন মেয়র নির্বাচনে শহরের নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো শহরের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ‘নিয়ন্ত্রণহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং অতিরিক্ত ৫,০০০ পুলিশ সদস্য নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস অবশ্য মনে করেন, পুলিশের অভাব নয়, বরং জামিন সংস্কারের কারণেই শহরের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
শহরের অপরাধের পরিসংখ্যান কিছুটা নিম্নমুখী হলেও, এই ধরনের সহিংসতার ঘটনাগুলি নিউ ইয়র্কবাসীর মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। মেয়র এরিক অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের শহর ‘বিশৃঙ্খল’ অবস্থায় আছে, এমন কথা বলা বন্ধ করতে হবে।”
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান