যুক্তরাষ্ট্রে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির ছয়টি রাজ্যে আঘাত হেনেছে এই দুর্যোগ, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।
রবিবার পাওয়া খবর অনুযায়ী, মিসৌরি রাজ্যে ১২ জন, কানসাসে আট জন, মিসিসিপিতে ৬ জন, আলাবামায় ৩ জন, আরকানসাসে ৩ জন এবং টেক্সাসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রবিবার সকালে ক্যারোলিনা, পূর্ব জর্জিয়া এবং ফ্লোরিডার কিছু অংশে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, ঝড়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে শক্তিশালী বাতাস থেকে, তবে আরও টর্নেডোর সম্ভাবনাও রয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সাধারণত মার্চ মাসে দেখা যায়।
মিসৌরির বাটলারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সেখানকার জরুরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবী মায়ার্স জানিয়েছেন, ৫০০টির বেশি বাড়িঘর, একটি গির্জা এবং একটি মুদি দোকান সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।
একটি মোবাইল হোম পার্কও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। রাজ্যের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিসৌরিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং পাঁচটি কাউন্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর টেট রিভস জানিয়েছেন, অঙ্গরাজ্যে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কভিংটন কাউন্টিতে একজন, জেফারসন ডেভিস কাউন্টিতে দুইজন এবং ওয়ালথাল কাউন্টিতে তিনজন মারা গেছেন।
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, রাজ্যজুড়ে ২৯ জন আহত হয়েছেন এবং ২১টি কাউন্টিতে ঝড়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরকানসাসে ঝড়ে তিনজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩২ জন। কানসাসের শেরিমান কাউন্টিতে ভয়াবহ ধূলিঝড়ের কারণে ৫০টির বেশি গাড়ির সংঘর্ষে আটজন নিহত হয়েছে।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, আলাবামার কেন্দ্রস্থলে বেশ কয়েকটি টর্নেডোর আঘাতে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে একজন ৮২ বছর বয়সী নারীও ছিলেন, যিনি একটি মোবাইল হোমে বাস করতেন। টেক্সাসের অ্যামারিলো শহরের কাছে ধূলিঝড়ের কারণে হওয়া দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
এই ঝড়ের কারণে প্রায় দেড় লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা