আনন্দদায়ক সিনেমা: যা দর্শকদের মন জয় করে সিনেমা এমন একটি মাধ্যম যা আমাদের বাস্তব জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেয়, কিছুক্ষণের জন্য হলেও অন্য এক জগতে নিয়ে যায়।
ভালো সিনেমা মনকে শান্তি দেয়, আনন্দ দেয়, আর সেই সিনেমা যদি হয় “ফিল-গুড” ঘরানার, তাহলে তো কথাই নেই! সম্প্রতি, একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম তাদের পাঠকদের কাছে জানতে চেয়েছিল তাদের প্রিয় কিছু “ফিল-গুড” সিনেমার কথা, যা তাদের মন ভালো করে দেয়।
পাঠকদের সেই পছন্দের তালিকা থেকে কিছু সিনেমার কথা তুলে ধরা হলো, যা হয়তো আপনারও ভালো লাগবে। প্রথমেই আসা যাক, পুরনো দিনের একটি ক্লাসিক সিনেমা “অ্যান অ্যাফেয়ার টু রিমেম্বার”-এর (স্মৃতির পথে) কথা।
১৯৫৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি ভালোবাসার এক অসাধারণ গল্প বলে। এতে অভিনয় করেছেন ডেবোরা কার এবং ক্যারি গ্রান্ট। গল্পের গভীরতা আর আকর্ষণীয় সংলাপের কারণে এটি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে।
এরপর রয়েছে, “ফিল্ড অফ ড্রিমস”। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন কেভিন কস্টনার। সিনেমাটি বাবা ও ছেলের মধ্যেকার সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে তৈরি হয়েছে।
খেলাধুলার প্রতি আবেগ, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সুন্দর দৃশ্যের কারণে সিনেমাটি দর্শকদের কাছে খুবই প্রিয়। ষাটের দশকের একটি রোমান্টিক কমেডি সিনেমা হলো “ওয়াক ডন্ট রান”।
ক্যারি গ্রান্টের অভিনয়শৈলী এই সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়াও, সামান্থা এগারের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। হালকা গল্পের মোড়কে তৈরি সিনেমাটি দর্শকদের হাসির খোরাক যোগায়।
আরেকটি সিনেমা যা দর্শকদের ভালো লাগার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে, সেটি হলো “রাইজ অফ দ্য গার্জিয়ানস”। অ্যানিমেটেড এই সিনেমাটি শিশুদের মন জয় করার মতো একটি গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে।
ক্রিসমাসের সময় অনেকেই এই সিনেমাটি দেখতে পছন্দ করেন। “ফ্রেঞ্চ কিস” একটি মজাদার প্রেমের সিনেমা। মেগ রায়ান এবং কেভিন ক্লেইনের অভিনয় দর্শকদের ভালো লেগেছে।
সিনেমার গল্প, অভিনয় এবং হাস্যরস দর্শকদের আনন্দ দেয়। আবেগপূর্ণ সিনেমা দেখতে যারা ভালোবাসেন, তাদের জন্য “সিনেম্যা প্যারাডিসো” একটি দারুণ পছন্দ হতে পারে।
ইতালীয় এই সিনেমাটি নস্টালজিয়া এবং শৈশবের স্মৃতি নিয়ে তৈরি। সিনেমার গল্প দর্শককে এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যায়। “হাউ টু স্টিল এ মিলিয়ন” একটি হাস্যকর গল্পের সিনেমা।
অড্রে হেপবার্ন এবং পিটার ও’টুল-এর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। সিনেমার পোশাক এবং গল্পের প্লট দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছে। “দ্য বিগ লেবোভস্কি” সিনেমাটি হাস্যরসে ভরপুর।
সিনেমার সংলাপ, অভিনয় এবং গল্পের গভীরতা দর্শকদের হাসায়। “মুনস্ট্রাক” সিনেমাটি দর্শকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীদের অসাধারণ অভিনয়শৈলী দর্শকদের মন জয় করে।
“প্রাইড” সিনেমাটি ১৯৮৪ সালের যুক্তরাজ্যের শ্রমিক ধর্মঘট এবং গে কমিউনিটির সম্পর্ক নিয়ে তৈরি। সিনেমাটি দর্শকদের আনন্দ দেয় এবং একইসাথে শিক্ষামূলক।
“এন্ড উড” সিনেমাটিতে বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসার গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সিনেমাটির গল্প দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এছাড়াও, “নর্থ বাই নর্থওয়েস্ট”, “দ্য নাইস গাইস”, “শারাদে”, “সিক্স ডিগ্রি অফ সেপারেশন” এর মতো সিনেমাগুলোও দর্শকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
এই সিনেমাগুলো হয়তো আপনাকে আনন্দ দিতে পারে। আপনারও যদি কোনো প্রিয় “ফিল-গুড” সিনেমা থাকে, তবে তা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান