বিখ্যাত অভিনেত্রী কেইরা নাইটলি, যিনি তাঁর অভিনয়ের মুন্সিয়ানা দিয়ে জয় করেছেন বিশ্বজুড়ে সিনেমাপ্রেমীদের মন, সম্প্রতি ৪০ বছরে পা দিয়েছেন। এই উপলক্ষে তাঁর অভিনয় জীবনের সেরা কিছু কাজ নিয়ে আলোচনা করা যাক, যা তাঁর অভিনয় প্রতিভার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
কেইরা নাইটলি, যিনি শুধু একজন অভিনেত্রীই নন, বরং ফ্যাশন এবং সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবেও সুপরিচিত, অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন খুবই অল্প বয়সে। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘স্টার ওয়ার্স: এপিসোড ১ – দ্য ফ্যান্টম মেনেস’ ছবিতে কেইরাকে দেখা যায়, যেখানে তিনি ছিলেন কুইন আमिডালার একজন সহযোগী।
যদিও এই ছবিতে তাঁর চরিত্রটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, তবে এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই তিনি হলিউডে নিজের স্থান করে নিতে শুরু করেন।
এরপর ২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বেঁড ইট লাইক বেকহ্যাম’ ছবিতে জুলস পাক্সটন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি সবার নজর কাড়েন। এই ছবিতে একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে।
এই ছবিতে তাঁর সাবলীল অভিনয় বুঝিয়ে দেয়, তিনি শুধু গ্ল্যামারাস চরিত্রেই নন, বরং সাধারণ চরিত্রেও সমানভাবে স্বচ্ছন্দ।
২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ ছবিতে এলিজাবেথ বেনেটের চরিত্রে অভিনয় করে কেইরা বিশ্বজুড়ে খ্যাতি লাভ করেন। এই ছবিতে তাঁর অভিনয় সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয় এবং তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে অস্কারের জন্য মনোনয়নও পান।
কেইরার অভিনয় জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হলো ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘এটোনমেন্ট’। জো রাইট পরিচালিত এই ছবিতে কেইরা সেসিলিয়া টলিস চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা দর্শক এবং সমালোচক উভয় মহলেই দারুণ সাড়া ফেলেছিল।
২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য ইমিটেশন গেম’ ছবিতে কেইরা অভিনয় করেন জোয়ান ক্লার্কের চরিত্রে, যিনি ছিলেন অ্যালান টুরিংয়ের সহযোগী। এই ছবিতে তাঁর অভিনয় এতটাই প্রশংসিত হয়েছিল যে, তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে অস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেন।
এছাড়াও, ‘কলেট’, ‘নেভার লেট মি গো’, ‘দ্য ডাচেস’ এর মতো চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করেছে। প্রতিটি চরিত্রেই তিনি নিজেকে ভেঙেছেন নতুন করে, যা তাঁর অভিনয় প্রতিভার প্রমাণ।
কেইরা নাইটলি তাঁর অভিনয় জীবনে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে কাজ করেছেন, যা তাঁর বহুমুখী প্রতিভার প্রমাণ। তিনি একদিকে যেমন ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তেমনি অন্যদিকে রোমান্টিক এবং অ্যাকশন ছবিতেও তাঁর সাবলীল উপস্থিতি দর্শকদের মন জয় করেছে।
তাঁর অভিনয় সবসময়ই দর্শকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিষয়।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান