লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে শুক্রবার এক বিরাট বিপর্যয় নেমে এসেছে, যার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরের কাজকর্ম। একটি বিদ্যুতের সাবস্টেশনে আগুন লাগার কারণে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, যার ফলে এক হাজারেরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ঘটনার জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বহু যাত্রী, বিশেষ করে যারা শুক্রবার হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করার কথা ছিল।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে, উত্তর হাইড এলাকার একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন লাগে। এর ফলে, শুধু হিথ্রো বিমানবন্দরই নয়, হাজার হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে এর ফলস্বরূপ বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ তাদের সামাজিক মাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, হিথ্রো বিমানবন্দরের আশেপাশে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শুক্রবার বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত, যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এয়ারলাইন্সটি তাদের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এই ঘটনার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশ থেকে আসা যাওয়া করা যাত্রীদের উপর। হিথ্রো, বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত একটি বিমানবন্দর, যা বহু বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে ইউরোপ ও অন্যান্য গন্তব্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত।
বর্তমানে যারা লন্ডন অথবা অন্য কোনো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পরিকল্পনা করছিলেন, তাদের ফ্লাইট বাতিল অথবা বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই, টিকিট এবং ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য যাত্রীদের নিজ নিজ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও, হিথরোর পরিবর্তে অন্য কোনো বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিবর্তন করা যায় কিনা, সে বিষয়েও খোঁজ খবর নিতে পারেন।
যাত্রীদের উদ্বেগের কথা বিবেচনা করে, এয়ারলাইন্সগুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা এবং বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আমরা আশা করতে পারি, খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং যাত্রীরা তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারবেন।
তথ্য সূত্র: The Guardian