যুক্তরাজ্যের অভিনেতা নোয়েল ক্লার্কের বিরুদ্ধে আনা যৌন অসদাচরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি মানহানি মামলার শুনানি চলছে। ক্লার্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি বিভিন্ন সময়ে নারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক *দ্য গার্ডিয়ান* পত্রিকার প্রকাশিত কয়েকটি নিবন্ধ ও একটি পডকাস্টের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন ক্লার্ক।
মামলার শুনানিতে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী তাদের বক্তব্য পেশ করেছেন। তাদের মধ্যে একজন প্রযোজক জানিয়েছেন, একটি দৃশ্যের শুটিংয়ের আগে ক্লার্ক নাকি এক নারী সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে “অশোভন” মন্তব্য করেছিলেন।
ওই প্রযোজক ক্লার্ককে সতর্ক করতে গেলে তিনি নাকি “গুরুত্ব দেননি” এবং “বেয়াদবিপূর্ণ” আচরণ করেন। ঐ প্রযোজক আরও জানান, ক্লার্ক নাকি ওই অভিনেত্রীকে বলেছিলেন, “আমরা পরে সেক্স করব।”
আদালতে পেশ করা তথ্যানুযায়ী, “মায়া” নামের ওই অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ক্লার্ক তাকে নগ্ন হতে চাপ দিচ্ছিলেন।
এছাড়া, ক্লার্কের বিরুদ্ধে শুটিং সেটে নারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে।
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী, যিনি একই প্রযোজনা দলের সদস্য ছিলেন, জানিয়েছেন ক্লার্ক নাকি ওই অভিনেত্রীকে তার কর্মজীবন নিয়েও “হুমকি” দিয়েছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্লার্ক নাকি বলেছিলেন, “তুমি কোনো দিনও সফল হতে পারবে না।”
তবে, নোয়েল ক্লার্ক এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি দাবি করেছেন, তিনি কারো সঙ্গে কোনো প্রকার খারাপ আচরণ করেননি। এমনকি, এক সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছিলেন বলে জানান।
আদালতে আরও জানা যায়, ২০১৬ সালে বার্মিংহামের একটি কনভেনশন সেন্টারে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার সময় লিসা গ্রাহাম নামে এক নারীর সঙ্গে ক্লার্কের “অশালীন” আচরণ হয়।
গ্রাহাম অভিযোগ করেন, ক্লার্ক নাকি তার “উরুর ওপর” হাত রেখেছিলেন এবং “যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ” মন্তব্য করেছিলেন।
ক্লার্ক অবশ্য এই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।
মামলার শুনানিতে ক্লার্কের বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ এসেছে, যেখানে নারীদের প্রতি তার “আপত্তিকর” মন্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালতে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তি উপস্থাপন করছেন এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিচার প্রক্রিয়া এখনো চলমান।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান