যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, ইউএসএআইডি-র অর্থায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে একটি খাদ্য বিষয়ক তথ্যচিত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের। ‘দ্য এনভয় শো’ নামের এই প্রকল্পের নির্মাতারা বলছেন, সাবেক মার্কিন প্রশাসনের অনুমোদন পাওয়ার পরও তারা এখনো পর্যন্ত কোনো অর্থ পাননি।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বৈদেশিক সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দেয়ায় এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।
খাবার বিষয়ক একটি প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ করে বিশ্বজুড়ে ফুড কালচার তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করে ‘এলো মিডিয়া’ নামের একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান। তাদের নির্মিতব্য ‘দ্য এনভয় শো’ ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে অ্যামাজনের প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
সিরিজের প্রথম পর্বে আফ্রিকার একটি শস্য, ফোনিও-এর ওপর আলোকপাত করার কথা।
জানা গেছে, গত বছর জুনে ইউএসএআইডি-র সঙ্গে অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয় এবং আগস্ট মাসে তারা স্পন্সরশিপের বিষয়ে আলোচনা করার অনুমতি পায়। এরপর, বাইডেন প্রশাসনের সময়ে, ইউএসএআইডি এবং ‘প্রস্পার আফ্রিকা’ নামের একটি বাণিজ্য সংগঠন ফোনিও বিষয়ক পর্বটির জন্য অর্থায়নের অনুমোদন দেয়।
এরপর ডিসেম্বরে এলো মিডিয়াকে একটি ক্রয়াদেশ (purchase order) দেওয়া হয়। কিন্তু জানুয়ারিতে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরপরই বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করার একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এর ফলে ইউএসএআইডি’র পক্ষ থেকে অর্থ ছাড়ের প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আইনি লড়াই শুরু হয়, যা এখনো চলমান।
অর্থের অভাবে কাজ চালিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রযোজনা সংস্থাটি। প্রকল্পের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যান মেরি হ্যাগার্টি জানিয়েছেন, সরকারের দেওয়ার কথা থাকা অর্থ পাওয়া যায়নি।
কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য তিনি ব্যক্তিগত ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে ইউএসএআইডি’র অনেক কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়ার খবর আসে। এর কয়েকদিন পরেই, ‘দ্য এনভয় শো’-এর নির্মাতাদের একটি ইমেইল দিয়ে জানানো হয় যে, তারা যেন নতুন কোনো খরচ না করেন।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের পরেও, এখনো পর্যন্ত প্রকল্পের জন্য ইউএসএআইডি’র অর্থ পাওয়া যায়নি।
যদিও সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের বৈদেশিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে, তবে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত।
তথ্য সূত্র: সিএনএন