June 2, 2025 12:22 AM
লকডাউনে অন্তর্বাস ত্যাগ: এক নারীর স্বস্তি ও শরীরের প্রতি নতুন উপলব্ধি।
কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে সারা বিশ্বে যখন লকডাউন চলছিল, তখন অনেকের জীবনেই এসেছিল বড় পরিবর্তন। ঘরবন্দী জীবনে অভ্যস্ত হতে গিয়ে মানুষের জীবনযাত্রায় এসেছিল নানা পরিবর্তন।
এই সময়ে অনেকের মধ্যে স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে সচেতনতা তৈরি হয়। এমনই এক পরিবর্তনের গল্প শুনিয়েছেন এক নারী, যিনি লকডাউনে অন্তর্বাস (bra) পরা বন্ধ করে দেন, এবং এরপর আর কখনও সেটিতে ফিরে যাননি।
ওই নারীর ভাষ্যমতে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর শরীরে দীর্ঘদিন ধরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যা ‘লং কোভিড’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে অন্যতম ছিল বুকের মাঝখানে তীব্র ব্যথা।
অন্তর্বাস পরলেই এই ব্যথা আরও বেড়ে যেত, শ্বাস নিতেও কষ্ট হতো। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তিনি অন্তর্বাস পরা বন্ধ করে দেন। তাঁর কাছে বিষয়টি ছিল এক ধরনের স্বাধীনতা।
লকডাউন শিথিল হওয়ার পর যখন ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করলো, তখন তিনি অফিসের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় তিনি কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন।
কারণ অন্তর্বাস ছাড়া যাওয়াটা সামাজিক প্রথা ও পোশাকের ধারণার সঙ্গে মেলে না।
এই সমস্যার সমাধানে তিনি প্রথমে কিছু হালকা, আরামদায়ক ব্র্যালেটের (bralette) চেষ্টা করেন। কিন্তু সেগুলোতেও তাঁর অস্বস্তি কমেনি।
এরপর তিনি নিপল কভার ব্যবহার করতে শুরু করেন। প্রথমে এই বিষয়টি তাঁর কাছে বেশ অপরিচিত ও অদ্ভুত লেগেছিল।
তবে কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি এর সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যান। তাঁর মতে, নিপল কভার ছিল খুবই হালকা এবং ব্যবহার করা সহজ।
শারীরিক স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি এই পরিবর্তনের ফলে তিনি নিজের শরীরের প্রতি আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে শুরু করেন।
স্বাস্থ্য ভালো হওয়ার পরেও তিনি আর পুরনো অভ্যাসে ফিরে যাননি। কারণ অন্তর্বাস না পরে তিনি যে স্বাধীনতা অনুভব করছিলেন, সেটা ছিল তাঁর কাছে অনেক মূল্যবান।
এই পরিবর্তনের মাধ্যমে তিনি নিজের শরীরের প্রতি আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন।
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, অতিমারীর কারণে মানুষের জীবনযাত্রায় আসা পরিবর্তনগুলো অনেক সময় আমাদের শরীরের প্রতি আরও যত্নবান হতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্য এবং স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়াটা জরুরি। প্রত্যেক নারীরই নিজের শরীরের প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত এবং পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজের আরাম ও স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে সবার উপরে রাখা উচিত।
তথ্য সূত্র: The Guardian
