“ক্যাফে ফ্লেশ”: পর্দার পেছনের গল্প
আশির দশকে মুক্তি পাওয়া “ক্যাফে ফ্লেশ” (Café Flesh) নামের একটি সিনেমা, যা পরিচালক স্টিফেন সায়েদিয়ান-এর (যিনি ‘রিন্স ড্রিম’ নামে পরিচিত) হাত ধরে তৈরি হয়েছিল। সিনেমাটি পরবর্তীতে এক বিশেষ পরিচিতি লাভ করে।
যৌনতা, সমাজের নানা দিক এবং দর্শকদের রুচিবোধ নিয়ে এই সিনেমার গল্প বোনা হয়েছে। শুরুতে সিনেমাটি সাধারণ দর্শকদের কাছে তেমন পরিচিতি না পেলেও, পরবর্তীতে এটি একটি বিশেষ শ্রেণীর মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পায়। সম্প্রতি সিনেমাটি নতুন করে সংস্করণ করা হয়েছে।
সিনেমাটির গল্প তৈরি হয়েছে এক ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে, যেখানে পারমাণবিক বোমার প্রভাবে বেশিরভাগ মানুষ যৌন আনন্দ থেকে বঞ্চিত। সমাজের এই কঠিন বাস্তবতায়, কিছু মানুষ ‘সেক্স পজিটিভ’ হিসেবে পরিচিত, যারা অন্যদের জন্য যৌনকর্ম করতে বাধ্য হয়। সিনেমার গল্পে এই বিষয়গুলো এক ভিন্ন আঙ্গিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
“ক্যাফে ফ্লেশ” তৈরির পেছনে ছিল এক অন্যরকম ভাবনা। পরিচালক সায়েদিয়ান, যিনি একসময় ‘হসলার’-এর মতো বিতর্কিত ম্যাগাজিনে কাজ করতেন, সিনেমার মাধ্যমে সমাজের প্রচলিত ধ্যান-ধারণার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন।
তিনি জানান, “পর্নোগ্রাফি ছিল আমার দেখা সবচেয়ে রক্ষণশীল জগৎ।” সিনেমার নির্মাণশৈলী, বিষয়বস্তু এবং বিভিন্ন দৃশ্যে সেই সময়ের সমাজের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে।
“ক্যাফে ফ্লেশ”-এর শুরুতে ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। তবে, পরবর্তীতে এটি ‘মিডনাইট মুভি সার্কিট’-এ জায়গা করে নেয়, যেখানে “দ্য রকি হরর পিকচার শো” (The Rocky Horror Picture Show) এবং “ইরেজারহেড”-এর (Eraserhead) মতো সিনেমাগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিনেমাটি একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করে এবং চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।
সিনেমাটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পরিচালক সায়েদিয়ান জানান, তিনি চেয়েছিলেন প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে কিছু করতে।
সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এমন কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে তার কাজের অভিজ্ঞতা ছিল বেশ ভিন্ন।
পুনরায় সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর, দর্শকদের মধ্যে এটি নিয়ে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সিনেমাটি আবারও আলোচনায় এসেছে, যা এর নির্মাতা এবং কলাকুশলীদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি দারুণ বিষয়।
তথ্য সূত্র: The Guardian