সিনেমা ও মঞ্চের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সিনথিয়া এরিভো সম্প্রতি গেলাড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসে সম্মানিত হয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে তিনি এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের অধিকার ও স্বীকৃতির পক্ষে কথা বলেন।
সমাজের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি তাদের সাহস ও আত্ম-অনুসন্ধানের পথে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
গেলাড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস-এ স্টিফেন এফ. কোলজাক অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করে এরিভো এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন জানান। এই অ্যাওয়ার্ডটি তাদের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি এবং সমাজে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারীদের সম্মানিত করে।
অনুষ্ঠানে নিজের ভাষণে এরিভো বিশেষভাবে সেইসব মানুষের কথা উল্লেখ করেন, যারা নিজেদের পরিচয় নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, সমাজের চোখে অবহেলিত হন, অথবা নিজেদের কণ্ঠস্বর খুঁজে পেতে সংগ্রাম করেন।
তিনি তাদের সাহস জুগিয়ে বলেন, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও “কিছু ফুল সব বাধা পেরিয়ে ফোটে”।
এরিভোর ভাষণে আত্ম-স্বীকৃতির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। তিনি বলেন, “নিজেকে ভালোবাসতে পারা এবং নিজের সত্য পরিচয় নিয়ে বাঁচা সহজ নয়।”
তিনি আরও যোগ করেন, সমাজে নিজেদের স্থান তৈরি করতে, অন্যদের কাছে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এবং তাদের সম্মান আদায় করতে অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়।
এরিভো বিশেষভাবে তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন, যারা এখনও নিজেদের পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ধৈর্য ধরুন, পথ অবশ্যই দেখা যাবে।”
এই অনুষ্ঠানে “উইল অ্যান্ড হার্পার” সিনেমার জন্য ডকুমেন্টারি বিভাগে হার্পার স্টিল এবং “বেবি রেইনডিয়ার” -এর জন্য সেরা সীমিত/সংকলন সিরিজে নাভা মাউও সম্মানিত হন।
সিনথিয়া এরিভো তার ভাষণে আরও উল্লেখ করেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলো তাদের কাজের স্বীকৃতি দেয়, তবে আসল কাজ হল ভবিষ্যতের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি করা।
তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান, অন্যদের পথপ্রদর্শক হওয়ার জন্য, বিশেষ করে যারা এখনও তাদের পথ খুঁজে পায়নি।
তিনি বলেন, “আমরা ‘আউট অ্যান্ড প্রাউড’ শব্দগুলো ব্যবহার করি, তবে যারা এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি, তাদের প্রতিও আমার গর্ব আছে।”
সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে এরিভো বলেন, “আপনারা আলো ধরুন, অন্যদের পথ দেখান।”
তথ্য সূত্র: সিএনএন