গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ডেনমার্ক-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতবিরোধ, ক্ষোভ প্রকাশ ডেনমার্কের
আর্কটিক অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে, আর এই অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো গ্রিনল্যান্ড। ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এটি, কিন্তু সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ডেনমার্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ।
মার্কিন প্রশাসনের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন বলেছেন, তাঁর দেশ ইতিমধ্যে আর্কটিক অঞ্চলে নিরাপত্তা খাতে বেশি বিনিয়োগ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
সম্প্রতি, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্স গ্রিনল্যান্ড সফর করেন। এরপরই ডেনমার্ককে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। ভেন্সের অভিযোগ, গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তা নিয়ে ডেনমার্ক যথেষ্ট বিনিয়োগ করেনি।
তিনি ডেনমার্কের নীতির পরিবর্তনের দাবি জানান এবং গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পক্ষে মত দেন।
ভেন্সের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রাসমুসেন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ভাষায় কথা বলছে, তা তিনি পছন্দ করেন না।
তিনি বলেন, ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্র এখনও ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং এ ধরনের মিত্রদের সঙ্গে এভাবে কথা বলা উচিত নয়। রাসমুসেন আরও উল্লেখ করেন, ডেনমার্ক আর্কটিক অঞ্চলের সুরক্ষায় তাদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।
তিনি জানান, ডেনমার্ক সরকার আর্কটিক অঞ্চলে নিরাপত্তা খাতে ১৪.৬ বিলিয়ন ড্যানিশ ক্রোন (২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
এর মধ্যে তিনটি নতুন নৌ জাহাজ, দূরপাল্লার ড্রোন এবং স্যাটেলাইট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এদিকে, গ্রিনল্যান্ডের আইনপ্রণেতারাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা ট্রাম্প প্রশাসনের গ্রিনল্যান্ডকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
গ্রিনল্যান্ডের পার্লামেন্টের সদস্যরা নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছেন, যেখানে ৩১টি আসনের মধ্যে ২৩টিতে তাঁদের জোট গঠিত হবে।
আর্কটিক অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই বিতর্কের কারণ হলো, এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব। গ্রিনল্যান্ডের অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সম্পদ এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন