যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ কমছে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বৃদ্ধির ইঙ্গিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বিশেষ করে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, নতুন চাকরির সুযোগ কমে এসেছে।
দেশটির শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর (Bureau of Labor Statistics – BLS) তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে চাকরির শূন্যপদ ছিল ৭.৫৭ মিলিয়ন, যেখানে জানুয়ারিতে এই সংখ্যাটা ছিল ৭.৭৬ মিলিয়ন। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি সম্ভবত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালার কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার ফল।
জানুয়ারীর হিসাব অনুযায়ী, কর্মী নিয়োগের হার স্থিতিশীল ছিল, ছাঁটাইয়ের সংখ্যা কমেছিল এবং চাকরি ছাড়ার প্রবণতা বেড়েছিল, যা কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের একটি ইঙ্গিত দেয়। তবে, অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন যে ২০২৫ সালের শুরু দিকের শ্রম বাজারের তথ্য, যার মধ্যে জানুয়ারীর JOLTS রিপোর্টও অন্তর্ভুক্ত ছিল, “ঝড়ের আগের নীরবতা” হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্রুত নীতিগত পদক্ষেপ, যেমন ফেডারেল সরকারের কর্মীবাহিনীতে ব্যাপক কাটছাঁট, এর কারণ হতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে বেসরকারি খাতেও প্রভাব পড়তে পারে, যা সম্ভবত সেখানে এবং সামগ্রিকভাবে মার্কিন অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে।
ফেব্রুয়ারির জন্য অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ছিল চাকরির শূন্যপদ ৭.৭৪ মিলিয়ন থেকে কমে ৭.৬২৫ মিলিয়নে দাঁড়াবে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য কম ছিল, কিন্তু এটি শ্রম বাজারের দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য কিছু প্রভাব থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত অনেক বাংলাদেশি কর্মীর রেমিট্যান্সের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে, এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন