যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বীমা খাতের শীর্ষ নির্বাহী ব্রায়ান থম্পসনকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত লুইগি ম্যাংজিওনের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন দেশটির সরকারি কৌঁসুলিরা। ম্যানহাটানে গত ৪ঠা ডিসেম্বরের এক ঘটনায় ইউনাইটেডহেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান থম্পসন নিহত হন।
এরপরই এই মামলার তদন্ত শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পাম বন্ডি জানান, তিনি কৌঁসুলিদের ম্যাংজিওনের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার মতে, ম্যাংজিওন একটি “পরিকল্পিত, ঠান্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড” ঘটিয়েছেন, যা “আমেরিকাকে হতবাক করেছে”।
তদন্তকারীদের ভাষ্যমতে, ম্যাংজিওনের কাছে একটি নোটবুক পাওয়া গেছে, যেখানে তিনি স্বাস্থ্য বীমা শিল্পের প্রতি এবং ধনী কর্মকর্তাদের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ করেছেন। যদিও ইউনাইটেডহেলথ কেয়ারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাংজিওন তাদের কোনো গ্রাহক ছিলেন না।
নোটবুকে লেখা কয়েকটি কথার মধ্যে ছিল, “লক্ষ্য হলো বীমা” এবং “একজন বীমা কোম্পানির প্রধান নির্বাহীকে খতম করার” অভিপ্রায়। ম্যাংজিওনের বিরুদ্ধে রাজ্য এবং ফেডারেল উভয় পর্যায়েই অভিযোগ আনা হয়েছে।
রাজ্য পর্যায়ে আনা অভিযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে তিনি এখনো ফেডারেল অভিযোগের বিষয়ে কোনো জবাব দেননি।
এদিকে, ম্যাংজিওন ও তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা তার আইনি লড়াইয়ের জন্য ‘গিভসেন্ডগো’ প্ল্যাটফর্ম থেকে সংগৃহীত প্রায় সাত লাখ পঁচাত্তর হাজার মার্কিন ডলার ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছেন। ‘ডিসেম্বর ৪থ লিগ্যাল কমিটি’ নামক একটি দলের মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য, এই ধরনের আন্তর্জাতিক খবর জানা অত্যন্ত জরুরি, যা বিশ্বজুড়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে ধারণা দেয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান