জার্মানিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে রাস্তায় অবরোধ তৈরি করায় কারাবরণ করতে রাজি হয়েছেন এক যাজক। জার্মানির এই যাজকের নাম জর্গ আল্ট।
তিনি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার দায়ে ৫০০ ইউরো জরিমানা এড়াতে ২৫ দিনের কারাদণ্ড বেছে নিয়েছেন।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জেসুইট সম্প্রদায়ের ৬৩ বছর বয়সী যাজক আল্ট, ন্যুরামবার্গ শহরে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে, তিনি এবং আরও কয়েকজন জলবায়ু কর্মী শহরের একটি রাস্তার যান চলাচল বন্ধ করে দেন এবং নিজেদের হাত রাস্তার সঙ্গে লাগিয়ে দেন।
তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করা।
ফাদার আল্ট জানিয়েছেন, তিনি তার দারিদ্র্যের শপথের কারণে জরিমানা দিতে চাননি। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের প্রতিবাদ জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার একটি উপায়।
বাভারিয়ার একটি আদালত তার আপিল খারিজ করে দেয় এবং এর পরেই তাকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই ঘটনার আগে, কর্তৃপক্ষ তাকে বারবার জরিমানা পরিশোধ করতে বললেও তিনি তা করেননি। শেষ পর্যন্ত, জরিমানার পরিবর্তে তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়।
ফাদার আল্টের মতে, এই প্রতিবাদ ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া কর্মীদের প্রতি সমর্থন জানানো, যাদেরকে কর্তৃপক্ষ ও বিচার বিভাগের কাছ থেকে একই ধরনের আচরণের শিকার হতে হয়।
আল্টের এই কারাদণ্ড নতুন নয়। এর আগেও, তিনি মিউনিখে একই ধরনের একটি প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন এবং সে কারণে তাকে জরিমানা করা হয়েছিল।
জার্মানিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা প্রায়ই তাদের ভিন্নধর্মী প্রতিবাদের জন্য সমালোচিত হন। কিছু মানুষ তাদের পদ্ধতির বিরোধিতা করলেও, তাদের এই উদ্বেগকে সমর্থন করেন।
তবে, অনেক রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরা প্রতিবাদকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এমনকি জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজও জলবায়ু বিষয়ক কর্মীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। এখানকার মানুষজন প্রায়ই বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হন।
জার্মানিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ফাদার আল্টের কারাবরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা বাড়ানোর একটি অংশ।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস