পোপ ফ্রান্সিস, যিনি গুরুতর অসুস্থতা থেকে সেরে উঠছেন, বর্তমানে ভ্যাটিকানে বিশ্রাম নিচ্ছেন। তাঁর সুস্থতার এই সময়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ করছেন।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ভেনিজুয়েলা ও পাপুয়া নিউ গিনির ধর্মগুরুদের সাধু ঘোষণার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। একইসাথে, ১৯১৫ সালের আর্মেনীয় গণহত্যার শিকার হওয়া একজন আর্চবিশপকেও সাধু হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ভ্যাটিকান সিটি সূত্রে জানা গেছে, পোপ ফ্রান্সিস প্রতিদিন তাঁর ব্যক্তিগত চ্যাপেলে প্রার্থনা করেন এবং অফিসের কাজও করছেন। শারীরিক এবং শ্বাসপ্রশ্বাস বিষয়ক থেরাপিও নিয়মিত চলছে, যার ফলস্বরূপ তাঁর কণ্ঠস্বরও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ফুসফুসের সংক্রমণ সম্পূর্ণভাবে সারতে কয়েক মাস সময় লাগবে।
পোপের সুস্থতার বিষয়ে নিয়মিত খবর জানাচ্ছে ভ্যাটিকান। সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ৮৮ বছর বয়সী পোপ বর্তমানে ভালো অনুভব করছেন এবং ভক্তদের কাছ থেকে শুভেচ্ছাবার্তা গ্রহণ করছেন।
সম্প্রতি করা একটি এক্স-রে রিপোর্টে ফুসফুসের সংক্রমণ সামান্য উন্নতি দেখা গেছে।
পোপের নির্দেশে, ভেনিজুয়েলার মারিয়া দেল মন্তে কারমেলো এবং পাপুয়া নিউ গিনির পিটার তো রোট-এর সাধুত্বের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পিটার তো রোট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কারাগারে মারা যান এবং তাঁকে বিশ্বাসের জন্য শহীদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও, আর্মেনীয় গণহত্যার সময় নিহত আর্চবিশপ ইগনাতিয়াস চৌকরল্লাহ মালয়ানের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৯১৫ সালে প্রায় ১৫ লক্ষ আর্মেনীয়কে হত্যা করা হয়।
মালয়ানসহ ১৩ জন যাজককেও সে সময় হত্যা করা হয়, যখন তাঁরা তাঁদের বিশ্বাস ত্যাগ করতে অস্বীকার করেন।
পোপ ফ্রান্সিস তাঁর অসুস্থতার সময়কালে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে একটি অডিও বার্তা দিয়েছেন।
সেখানে তিনি সকলকে প্রযুক্তি ব্যবহারের সঠিক দিক সম্পর্কে সচেতন করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা যেন প্রযুক্তির প্রতি বেশি আকৃষ্ট না হয়ে, একে অপরের দিকে তাকাই এবং মানুষের সঙ্গে সময় কাটাই।”
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, পোপকে পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও দু’মাস বিশ্রাম নিতে হবে।
এই সময়ের মধ্যে বড় কোনো জনসমাগমে তাঁর অংশগ্রহণের সম্ভাবনা কম। আগামী ২০ এপ্রিল ইস্টার সানডে উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিতে পারবেন কিনা, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
পোপের স্বাস্থ্য বিষয়ক সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা নিয়মিত তাঁর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছেন।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস