যুক্তরাষ্ট্রে পেশাদার আমেরিকান ফুটবল লীগ, ন্যাশনাল ফুটবল লীগ (এনএফএল)-এ একটি বিতর্কিত খেলার নিয়ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ‘টাশ পুশ’ নামে পরিচিত এই খেলাটি নিয়ে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।
এই খেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী মে মাসে নেওয়া হবে।
‘টাশ পুশ’ খেলাটিতে মূলত অল্প দূরত্বের জন্য আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা কোয়ার্টারব্যাককে (ফুটবল দলের আক্রমণভাগের প্রধান খেলোয়াড়) সামান্য ধাক্কা দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। ফিলাডেলফিয়া ঈগলস দল এই কৌশলের সফল প্রয়োগের জন্য পরিচিত।
তবে, এই খেলার কারণে খেলোয়াড়দের আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে অনেক দল আপত্তি জানাচ্ছে। গ্রিন বে প্যাকার্স নামক একটি দল এই খেলাটি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করেছিল, কিন্তু তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
এই খেলার নিয়ম পরিবর্তনের প্রস্তাবের পাশাপাশি, খেলার আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। খেলার অতিরিক্ত সময়ের নিয়ম প্লে-অফের মতোই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে উভয় দলই স্কোর করার সুযোগ পাবে।
এছাড়াও, খেলার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করার জন্য ‘রিপ্লে এসিস্ট’ ব্যবহারের নিয়ম আরও বিস্তারিত করা হয়েছে। এর ফলে মাঠের ভেতরের কর্মকর্তাদের ভুল সিদ্ধান্তগুলো সহজে শুধরানো যাবে।
ফুটবল খেলার নিয়ম পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে। কিছু কোচ এই খেলার পক্ষে মত দিয়েছেন, আবার কেউ কেউ এর বিরুদ্ধে।
ফিলাডেলফিয়া ঈগলসের কোচ নিক সিরিয়ানি এই খেলার পক্ষ সমর্থন করে বলেন, কৌশলগত দিক থেকে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, লস অ্যাঞ্জেলেস র্যামসের কোচ শোন ম্যাকভে এই খেলার বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
বাফেলো বিলসের কোচ শোন ম্যাকডারমটও এই খেলাটি বাতিল করার পক্ষে। তিনি খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, খেলার সময় যেন কোনো ধরনের আঘাত না লাগে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এই খেলার ভবিষ্যৎ কী হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এনএফএল আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে। খেলাটির কারণে খেলোয়াড়দের আঘাতের ঝুঁকি আছে কিনা, সে বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
কানসাস সিটি চিফসের কোচ অ্যান্ডি রিড বলেন, ‘যদি এই খেলার কারণে খেলোয়াড়দের কোনো খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, তাহলে অবশ্যই কিছু একটা করতে হবে।
তবে খেলাটি যদি খেলোয়াড়দের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ না হয়, তাহলে এটি খুবই কার্যকরী একটি কৌশল।’
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান