1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
April 16, 2025 9:24 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
কাপ্তাইয়ে চিৎমরমে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব সুদানে ২ বছর: ধ্বংসযজ্ঞ আর দুর্ভিক্ষে মৃত্যুর মিছিল! ভেনেজুয়েলায় চরম দুর্ভোগ! মাদুরোর ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা! লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭১ জন: জাতিসংঘের রিপোর্টে চাঞ্চল্য! ছেলের জন্মদিনে মহাকাশ অভিযান! তারকা দম্পতির পার্টিতে আনন্দের ঢেউ মামা জুন: সম্পর্কের ভাঙন! ‘কুমড়ো’র নতুন প্রেম, প্রাক্তন স্বামীর জীবনে চরম হতাশা হলোকাস্ট survivor-দের পাশে সিন্ডি ক্রফোর্ড, চমকে দিলেন তারকারা! বদলে যাচ্ছে সাউথওয়েস্ট! টিকিট-খরচে বড় পরিবর্তনে যাত্রীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ! কাউন্টি ক্রিকেটে চমক: অপ্রত্যাশিত ফলাফলে উত্তাল মাঠ! ম্যাচ কর্মকর্তাদের গালি, ডায়মন্ডের ক্যারিয়ারে বড় ধাক্কা!

সুইজারল্যান্ড নয়, এবার রোমানিয়ার পাহাড়ে ভ্রমণের সুযোগ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Friday, April 4, 2025,

ইউরোপ ভ্রমণে যারা পাহাড় ভালোবাসেন, তাদের জন্য সুইজারল্যান্ডের আল্পস পর্বতমালার বাইরেও আকর্ষণীয় গন্তব্য রয়েছে। দেশটির নাম রোমানিয়া।

এখানকার ট্রান্সিলভেনিয়ার আল্পস পর্বতমালা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অসাধারণ লীলাভূমি। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের এক প্রতিবেদনে এই অঞ্চলের আকর্ষণীয় দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের আল্পস দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপের পর্বতারোহীদের পছন্দের জায়গা হলেও, এখন অনেকেই রোমানিয়ার ট্রান্সিলভেনিয়ার দিকে ঝুঁকছেন। এর প্রধান কারণ হলো, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ যেমন রয়েছে, তেমনই সুইজারল্যান্ডের তুলনায় ভ্রমণ খরচ অনেক কম।

ট্রান্সিলভেনিয়ার অর্থ হলো ‘বনের ওপারে ভূমি’। এই অঞ্চলে এক সময় বিভিন্ন সভ্যতার মিলনমেলা ছিল।

রোমান, অটোমান, হাঙ্গেরীয় এবং স্যাক্সনদের সংস্কৃতির প্রভাব এখানকার স্থাপত্য থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাস—সবকিছুতেই বিদ্যমান।

ভ্যাম্পায়ারের গল্পে পরিচিত ‘ড্রাকুলা’র দেশ হিসেবেও ট্রান্সিলভেনিয়ার খ্যাতি রয়েছে। তবে এখানকার আসল আকর্ষণ হলো এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

কার্পেথিয়ান পর্বতমালার অংশ ট্রান্সিলভেনিয়ার আল্পস-এ ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল রয়েছে। এখানে প্রায় ৬,৪০০ বাদামী ভালুক এবং ২,০০০ এর বেশি নেকড়ে বাঘ দেখা যায়।

এছাড়াও লাল হরিণ, লিঙ্কস এবং ইউরোপীয় বাইসনও এখানে বিদ্যমান।

এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ‘ভিয়া ট্রান্সিলভ্যানিকা’ নামের ৮৭০ মাইল দীর্ঘ একটি হাইকিং ট্রেইল তৈরি করা হয়েছে।

এই পথ ধরে হেঁটে গেলে এখানকার বন্য প্রকৃতি ও ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো ঘুরে দেখা যেতে পারে। এই রুটের মধ্যে রয়েছে অনেকগুলো ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান এবং সিঘিসোয়ারার মতো ঐতিহ্যপূর্ণ শহর।

এখানকার বুনো ফুলের বাগানগুলো পর্যটকদের মন জয় করে। এই ফুলের বাগানগুলো মধু উৎপাদন এবং বিভিন্ন বিপন্নপ্রায় প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ট্রান্সিলভেনিয়ার আল্পস-এ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ‘রিওয়াইল্ডিং ইউরোপ’ নামক একটি সংস্থা এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ পুনরুদ্ধার এবং বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল তৈরি করতে কাজ করছে।

২০১৪ সালে, ‘রিওয়াইল্ডিং রোমানিয়া’ নামক একটি স্থানীয় সংস্থা Țarcu Mountains-এ ১০টি ইউরোপীয় বাইসন (এক ধরনের বন্য মোষ) পুনর্বাসন করে।

বর্তমানে পর্যটকদের জন্য বনের ভেতর ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে তারা বাইসন ছাড়াও অন্যান্য বন্যপ্রাণী যেমন—চ্যামোইস, ভালুক এবং বিভিন্ন পাখি দেখতে পারেন।

যারা শীতকালে পাহাড়ের ঢালে স্কি করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্যও ট্রান্সিলভেনিয়ার আল্পস একটি দারুণ জায়গা। এখানকার পিয়াত্রা ক্রাইউলুই (Piatra Craiului) শীতকালে স্কি করার জন্য বেশ জনপ্রিয়।

এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশও চমৎকার। এখানকার স্কিইংয়ের খরচ সুইজারল্যান্ডের তুলনায় অনেক কম।

উদাহরণস্বরূপ, সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত জার্মাট রিসোর্টে একটি দিনের পাস-এর দাম যেখানে প্রায় ১০২ সুইস ফ্রাঙ্ক, সেখানে রোমানিয়ার পোয়ানা ব্রাভ (Poiana Brașov) স্কি রিসোর্টে একই সুবিধা পাওয়া যায় প্রায় ৪৬ রোমানিয়ান লেউ (Romanian Leu, RON)-এ।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি, এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও বেশ আকর্ষণীয়। ট্রান্সফাগারাসান হাইওয়ে (Transfăgărășan Highway) -এর ৯0 কিলোমিটার পথ ধরে গাড়িতে ভ্রমণ করা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর অভিজ্ঞতা।

এছাড়াও, এখানকার ঐতিহাসিক শহর যেমন—সিবিউ (Sibiu) এবং ব্রাভ-এ (Brașov) পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান।

সিবিউ শহরে পুরনো একটি শহর রয়েছে, যা উপরের শহর ও নিচের শহরে বিভক্ত। এই শহরটি স্যাক্সনদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

এখানকার ঐতিহাসিক কেন্দ্রটি পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকে তুর্কি আক্রমণের বিরুদ্ধে নির্মিত লাল ইটের দেয়ালের স্মৃতি বহন করে। এখানে তিনটি প্রাচীন ওয়াচ টাওয়ারও রয়েছে।

এখানকার ব্রুকেনথাল জাদুঘরে (Brukenthal Museum) বিভিন্ন চিত্রকর্ম, এচিং এবং দুর্লভ বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে।

ব্রাভ শহরটি এক সময় ট্রান্সিলভেনিয়ার সাতটি দুর্গের অন্যতম ছিল। এই শহরের কেন্দ্রে রয়েছে একটি সরু রাস্তা, যার নাম ‘রোপ স্ট্রিট’ (Rope Street)।

এখানকার ব্ল্যাক চার্চ (Black Church) -এর বিশাল অঙ্গন ও পূর্ব ইউরোপের বৃহত্তম অর্গান পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।

স্বল্প পরিচিত হলেও, ট্রান্সিলভেনিয়ার আল্পস-এর নিজস্ব একটি আকর্ষণ রয়েছে। এখানে ভ্রমণকারীরা প্রকৃতির কাছাকাছি আসার সুযোগ পান এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন।

ভ্রমণের জন্য এখানে বিভিন্ন ধরনের থাকার জায়গা রয়েছে। আধুনিকতার ছোঁয়া পেতে চাইলে সাইমনের ‘ম্যাটকা’ -র মত হোটেলে থাকতে পারেন।

এছাড়াও, আপনি ‘ভ্যালিয়া ভার্দে রিসোর্ট’-এর মতো জায়গায়ও থাকতে পারেন, যেখানে স্থানীয় কারুশিল্প ও বস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

রোমানিয়ার খাবারও বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। এখানকার স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায় ‘কাশ’ নামক এক ধরনের তাজা ভেড়ার দুধ থেকে তৈরি হওয়া পনির।

সুইজারল্যান্ডের ‘এমেন্টাল’ ও ‘গ্রুয়েরে’ পনিরের মতো, এখানকার ‘ব্রাঞ্জা ডি বার্ডুফ’ (পাইন গাছের বাকল বা পশুর চামড়ায় তৈরি পনির)-এর স্বাদও অসাধারণ।

তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT