নোয়েল ক্লার্কের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে চলমান মানহানির মামলার শুনানিতে গার্ডিয়ানের সম্পাদক-ইন-চিফ ক্যাথারিন ভিনার বলেছেন, ক্লার্কের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশ করাটা জনস্বার্থে ছিল।
২০২১ সালে বাফটা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ক্লার্ককে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। এর পরেই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো নিয়ে খবর প্রকাশ করে দ্য গার্ডিয়ান।
ক্লার্ক গার্ডিয়ানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। গার্ডিয়ান নিউজ অ্যান্ড মিডিয়া (জিএনএম)-এর প্রকাশিত সাতটি নিবন্ধ এবং একটি পডকাস্টের মাধ্যমে তার সম্মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ ক্লার্কের।
ক্যাথারিন ভিনার আদালতে জানান, তিনি মনে করেন, ক্লার্কের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো যুক্তরাজ্যের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে ‘প্রকাশ্যে আলোচনার বিষয়’ ছিল। তিনি আরও বলেন, বাফটা পুরস্কারের মাধ্যমে ক্লার্ককে সম্মানিত করার ফলে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো আরও বাড়তে পারতো।
মামলার শুনানিতে, ক্লার্কের আইনজীবী ভিনারকে সাংবাদিকতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে ভিনার বলেন, তিনি প্রত্যাশা করেন সাংবাদিকরা তাদের অনুসন্ধানী কাজ করবেন, সম্পাদকরা তা সম্পাদনা করবেন এবং এরপর তা তার কাছে উপস্থাপন করা হবে।
আদালতে গার্ডিয়ানের ডেপুটি এডিটর, ওয়েন গিবসন জানান, জিএনএমের মালিকানা কাঠামো নিশ্চিত করে যে, অনুসন্ধানের ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো বাণিজ্যিক বা মালিকানা সংক্রান্ত চাপ ছিল না।
ক্লার্ক ও তার সহযোগী জেসন মাজার সাক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন এবং এর মাধ্যমে সাক্ষীদের ভয় দেখানো বা তাদের মধ্যে ভীতি তৈরি হতে পারতো। তাদের মুখ বন্ধ করারও চেষ্টা করা হচ্ছিল।
মূলত, এসব কারণেই খবর প্রকাশের সময় বিবেচনা করা হয়েছিল।
জার্মান চলচ্চিত্র পরিচালক আনা কাইজার আদালতে সাক্ষ্য দেন। ২০০৮ সালে ‘ডগহাউস’ চলচ্চিত্রে ক্লার্কের সঙ্গে কাজ করার সময়কার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন তিনি।
কাইজার জানান, ক্লার্ক প্রায়ই তাকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করতেন। কাইজার আরও বলেন, সে সময় সেটির প্রতিবাদ জানালে ক্লার্কের আচরণে বন্ধুভাবাপন্নতা কমে গিয়েছিল।
মামলার শুনানিতে আগামী শুক্রবার চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক পেশ করা হবে এবং এরপর বিচারপতি মিসেস জাস্টিস স্টেইন একটি লিখিত রায় দেবেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান