**মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি ইউক্রেনে শান্তি চায় রাশিয়া? দ্রুতই জানা যাবে, জানালেন মার্কো রুবিও**
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে রাশিয়ার আন্তরিকতা যাচাই করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওয়াশিংটন বুঝতে পারবে, মস্কো শান্তি আলোচনায় কতটা আগ্রহী। ব্রাসেলসে ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও (Marco Rubio – মার্কো রুবিও)।
রুবিও বলেন, “আমরা দেখতে চাই রাশিয়া কি সত্যিই শান্তি চায়? তাদের কথা নয়, বরং তাদের কাজই তা প্রমাণ করবে।
আমরা দ্রুতই সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাই।” তিনি আরও যোগ করেন, “রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin – ভ্লাদিমির পুতিন) সিদ্ধান্ত নিতে হবে—তারা কি শান্তি চায়, নাকি এটি কেবল সময় ক্ষেপণ করার কৌশল?”
মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ইউক্রেন সংঘাতের অবসানে শান্তি আলোচনা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump – ডোনাল্ড ট্রাম্প) যদিও এখনো মনে করেন পুতিন যুদ্ধ বন্ধ করতে আগ্রহী, তবে বর্তমান প্রশাসনের অনেকে মনে করেন, ক্রেমলিন (Kremlin – রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়) সম্ভবত ইউক্রেনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকিয়ে রাখতে রাজি নয়।
তারা এমন কিছু শর্ত চাপাতে পারে যা কার্যত ইউক্রেনকে রাশিয়ার প্রভাবাধীন অঞ্চলে পরিণত করবে।
এদিকে, ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো ওয়াশিংটনের প্রতি মস্কোর (Moscow – মস্কো) ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছে।
তারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জোরালো পদক্ষেপ নিতে বলছে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক (Annalena Baerbock – আনালেনা বেয়ারবক) পুতিনের আলোচনা প্রস্তাবকে ‘ফাঁকা প্রতিশ্রুতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পুতিন সময় ক্ষেপণ করছেন এবং নতুন নতুন দাবি উত্থাপন করছেন।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নয়েল বারো (Jean-Noël Barrot – জ্যাঁ-নয়েল বারো) ব্রাসেলসে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র একটি মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা এবং যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে।
এর জবাব রাশিয়ার দেওয়া উচিত।” ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি (David Lammy – ডেভিড ল্যামি) বলেন, “পুতিন এখনই যুদ্ধবিরতি দিতে পারেন, কিন্তু তিনি ইউক্রেন এবং সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আমরা বুঝতে পারছি, ভ্লাদিমির পুতিন, আপনি কী করছেন।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার একজন দূত সম্প্রতি ওয়াশিংটন (Washington – ওয়াশিংটন) সফর করেছেন।
রুশ আগ্রাসন শুরুর পর এই প্রথম কোনো উচ্চপদস্থ রুশ কর্মকর্তা মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসলেন।
জানা গেছে, রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিভ (Kirill Dmitriev – কিরিল দিমিত্রিভ) ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিভ উইটকফ (Steve Witkoff – স্টিভ উইটকফ) এবং মার্কো রুবিওর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
দিমিত্রিভ এই বৈঠকগুলোকে দুই দেশের মধ্যে ‘ইতিবাচক গতিশীলতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
তবে, মার্কো রুবিও কিছুটা সতর্ক মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন, তিনি আশা করেন দিমিত্রিভ মস্কোতে একটি সুস্পষ্ট বার্তা নিয়ে যাবেন।
“যুক্তরাষ্ট্র জানতে চায়, আপনারা কি শান্তি চান, নাকি চান না?”—এমনটাই ছিল তাঁর বক্তব্য।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে, একটি গাড়ি বোমা হামলায় একজন স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম ইউরি ফেদকো (Yuriy Fedko – ইউরি ফেদকো)।
তিনি স্থানীয় সিটি কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান