প্রিন্স অ্যান্ড্রু, চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতেন, যুক্তরাজ্যের আদালতে এমনটাই জানালেন তার সাবেক উপদেষ্টা। ডিউক অফ ইয়র্কের সাবেক উপদেষ্টা ডমিনিক হ্যাম্পশায়ার, যিনি ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অ্যান্ড্রুর সঙ্গে কাজ করেছেন, বিশেষ অভিবাসন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।
তিনি জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে পাঠানো ডিউকের ব্যক্তিগত চিঠি তৈরিতে পরামর্শ দিতেন অভিযুক্ত চীনা গুপ্তচর ইয়াং টেংবো।
হ্যাম্পশায়ারের মতে, অ্যান্ড্রু এবং শি জিনপিংয়ের মধ্যে “সবসময় একটি যোগাযোগের পথ” ছিল, যা বাকিংহাম প্যালেস এবং প্রয়াত রানীও “স্বীকৃতি” দিতেন এবং সম্ভবত উৎসাহিতও করতেন।
ইয়াং, যিনি ক্রিস ইয়াং নামেও পরিচিত, তার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আদালতের নথিতে প্রকাশ, অ্যান্ড্রু প্রতি বছর চীনের প্রেসিডেন্টের জন্মদিনে চিঠি পাঠাতেন। হ্যাম্পশায়ারের জবানবন্দিতে বলা হয়, “রয়্যাল হাউসহোল্ড, যার মধ্যে প্রয়াত রানীও ছিলেন, এই যোগাযোগের বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন – এটি অবশ্যই গৃহীত হয়েছিল এবং বলা যেতে পারে যে এটি উৎসাহিতও করা হয়েছিল – এটি যোগাযোগের একটি উন্মুক্ত মাধ্যম ছিল যা কাজে লেগেছিল।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমার কাজ হলো সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণে কীভাবে বার্তা পাঠাতে হয়, তা যিনি বোঝেন, তেমন কারো (যেমন ক্রিসের) সাহায্য নিয়ে এই চিঠিগুলো তৈরি করা।
মে মাসের বিবৃতিতে হ্যাম্পশায়ার জানান, অ্যান্ড্রু “নিশ্চিতভাবেই চীনের সঙ্গে একটি মূল্যবান যোগাযোগের বিন্দু”।
তিনি আরও বলেন, “যদিও আমি মনে করি চীন অন্য কোনো রাজপরিবারের সদস্যকে পছন্দ করবে, তবে বাস্তবতা হলো, আজও যদি যুক্তরাজ্য সরকার বা প্রাসাদ বলে যে কারও চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করা এবং কথা বলা দরকার, আমি মনে করি ডিউক তা করতে পারবেন, যেখানে অন্য কারও পক্ষে এত সহজে তা করা সম্ভব হবে না।
তথ্য সূত্র: The Guardian