আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা: ট্রাম্পের শুল্কের কারণে কি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ?
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের জেরে এশিয়া ও ইউরোপের শেয়ার বাজারে বড় ধরনের দরপতন দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কেমন পড়তে পারে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে, যা বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ।
শেয়ার বাজারের সূচকগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জাপানের নিক্কেই ২২৫, চীনের সাংহাই কম্পোজিট এবং ইউরোপের লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে বড় ধরনের পতন হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এই দরপতনের মূল কারণ হলো ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত, যা বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও কঠিন করে তুলবে।
এর ফলে বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজি সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন, যা বাজারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতির কারণে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও বাড়তে পারে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করবে। বিশেষ করে, যে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে, তাদের অর্থনীতিতে এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে।
এর পাশাপাশি, বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বাড়তে পারে, যা বিভিন্ন দেশের ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এই ঘটনার প্রভাব পড়তে পারে। যদিও সরাসরি কোনো প্রভাব এখনো দেখা যায়নি, তবে বিশ্ব অর্থনীতির এই অস্থিরতা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
কারণ, ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি হয়। এছাড়া, আমদানি পণ্যের দাম বাড়লে, তা দেশের বাজারেও প্রভাব ফেলবে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বিশ্ব অর্থনীতির এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, যা মোকাবিলায় সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা