গ্লাসগোর রাস্তায় বেড়ে ওঠা, অভিনয়ের জগৎ থেকে সঙ্গীতের জগতে: পিটার ক্যাপাল্ডির নতুন যাত্রা
বহু পরিচিত অভিনেতা পিটার ক্যাপাল্ডি, যিনি ‘ডাক্তার হু’ চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন, সম্প্রতি তার প্রথম অ্যালবাম ‘সুইট ইলিউশনস’ প্রকাশ করেছেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি সঙ্গীতের প্রতিও যে তার গভীর অনুরাগ রয়েছে, এই অ্যালবামটি তারই প্রমাণ।
ষাটোর্ধ্ব এই অভিনেতার সঙ্গীত জীবন শুরু হয়েছিল অনেক আগে, আটের দশকে গ্লাসগোর এক আর্ট স্কুলে, যেখানে তিনি একটি ব্যান্ডও তৈরি করেছিলেন।
আসুন, তার সঙ্গীত জীবনের নানা দিক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ক্যাপাল্ডির সঙ্গীত জীবনের শুরুটা হয় মূলত কৈশোরে, যখন তিনি বিটলসের গানের প্রতি আকৃষ্ট হন।
এরপর পা রাখেন আর্ট কলেজে।
সেখানে তিনি ডেভিড বোরির মতো শিল্পীদের দ্বারা প্রভাবিত হন এবং একটি ব্যান্ড দল গঠন করেন।
ব্যান্ডের নাম ছিল ‘ড্রিম বয়েজ’।
১৯৭০-এর দশকে গ্লাসগোর সঙ্গীত জগতে নিজেদের পরিচিতি তৈরি করার চেষ্টা করেন তারা।
তবে, সেই সময়ে খ্যাতি পাওয়া সহজ ছিল না।
অনেক চেষ্টা করেও তারা তেমন একটা সুযোগ পাননি।
এমনকি স্থানীয় ব্যান্ডগুলোর কনসার্টে তাদের গান করার সুযোগ পেতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
অবশেষে, অভিনয় জীবনের হাত ধরে আসে নতুন মোড়।
স্থানীয় একটি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার পর, ধীরে ধীরে সঙ্গীতের জগৎ থেকে দূরে সরে যান ক্যাপাল্ডি।
তবে, সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসাটা সবসময় তার মনে ছিল।
পরবর্তীতে, বন্ধু এবং সঙ্গীতশিল্পী ড. রবার্টের অনুপ্রেরণায় তিনি আবার গান লেখা শুরু করেন।
ক্যাপাল্ডি জানান, তার নতুন অ্যালবামের গানগুলো তৈরি করার সময় তিনি ২০১৯ সালে ‘সুইসাইড স্কোয়াড’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
শুটিংয়ের ফাঁকে পাওয়া সময়ে তিনি গানগুলো লিখেছিলেন।
তার এই অ্যালবামে জীবনের নানা দিক, যেমন—বয়স, নস্টালজিয়া এবং স্বপ্ন নিয়ে আসা নানা ভাবনা ফুটে উঠেছে।
এই অ্যালবামের একটি গান ‘বিন নাইট’।
যেখানে তিনি জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্বের কথা বলেছেন।
এছাড়া, অ্যালবামের ‘বিগ গাই’ গানটিতে সমাজের প্রভাবশালী মানুষদের পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
ক্যাপাল্ডির মতে, প্রযুক্তি এখন এতটাই সহজলভ্য হয়েছে যে, যেকোনো বয়সের মানুষই গান তৈরি করতে পারেন।
পিটার ক্যাপাল্ডির নতুন অ্যালবামটি প্রমাণ করে, মানুষের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার কোনো বয়স নেই।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান